এদিনই ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩৫তম প্রয়াণ দিবস। কিন্তু এদিনই এক অদ্ভুত ছবি দেখা গেল আরামবাগে। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেও ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তিতে কেউই দিলেন না মালা। তা নিয়েই চাপানউতোর শুরু হয়েছে আরামবাগের রাজনৈতিক মহলে। এদিকে বিদ্যাসাগরের গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ থেকে হুগলির গোঘাট, মেরে কেটে দূরত্ব ওই ২০ কিলোমিটারের মতো। আরামবাগ শহর ৩০ কিলোমিটার। গোঘাট থানা সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি। রয়েছে বিদ্যাসাগরের মা ভগবতী দেবীরও আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। কিন্তু, প্রয়ান দিবসে সেখানে কোনও নেতা, কোনও জনপ্রতিনিধিকেই শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে দেখা গেল না। তা নিয়েই চলছে তরজা।
আরও পড়ুনঃ “বাংলায় কথা বললেই মারছে, বাঙালি না বিহারী কিছুই দেখছে না”; ফিরল পরিযায়ী শ্রমিক ভর্তি বাস
অন্যদিকে আরামবাগ পৌরসভার পক্ষ থেকে আরামবাগ পল্লীশ্রী মোড়ে বসানো হয় পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আরও একটি মূর্তি। সেই মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন পৌর প্রধান স্বপন কুমার নন্দী। তবে মূর্তি দেখে বিদ্যাসাগর বলে চিনতেও পারলেন না বহু পথচলতি মানুষ। তবে কেউ কেউ চিনলেন। প্রয়াণ দিবসে গলায় একটাও মালা না থাকায় ক্ষোভও প্রকাশ করলেন।
আরও পড়ুনঃ মোহনবাগান দিবসের জমকালো অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট, মধ্যমণি ‘রত্ন’ টুটু বোস
গোঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় খান যদিও বলছেন, পঞ্চায়েত সমিতিতে ওনার যে মূর্তি রয়েছে। সেখানে মালা দেওয়া হয়েছে। তাই কোথাও মালা দেওয়া হয়নি এমনটা নয়। গোঘাট বাসস্ট্য়ান্ডের ব্যাপারটা আমাদের দেখা হয়নি। তবে তৃণমূলকে তোপ দাগতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএম নেতা ভাস্কর রায় বলছেন, “ওরা কী আদৌও বিদ্যাসাগরকে ভালবাসে নাকি? ওরা কী আদৌও জানে ভগবতী দেবীর জন্মস্থান গোঘাটে? ওরা তো বিদ্যাসাগরের নাম করে ভাষা আন্দোলন করছে। আসলে ক্ষমতায় থাকার জন্য সবটা হচ্ছে।” ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপিও।