বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাব পড়ল দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হওয়া বৃষ্টির দাপটে জলমগ্ন কলকাতার একাধিক রাস্তা। জনজীবন কার্যত ব্যাহত। শুক্রবারও প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। একইসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, সঙ্গে আরও চার জেলায় কমলা সতর্কতা।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু! অভিযোগ জলপাইগুড়ি মেডিকেলের দিকে
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে নিম্নচাপটি। দুপুর নাগাদ তা স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে। এরপর সেটি ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোবে। তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
বৃষ্টির জেরে একাধিক নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ১৮ জনের। তাই ঝড়-বৃষ্টির সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য নাগরিকদের সতর্ক করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ ১১ বছরের উন্নয়নের শহর তিলোত্তমা, জলমগ্ন সিটি অফ জয়; রাত থেকে টানা বৃষ্টি
এদিকে, ঠিক উলটো ছবি উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টির দেখা না মেলায় দাবদাহে পুড়ছে উত্তর দিকের জেলাগুলি। বালুরঘাটে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারেও তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি। আলিপুরদুয়ারেও তীব্র গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।