কালীপুজোর রাতে আলো, বাজি, আর উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাতল পশ্চিম মেদিনীপুর। শুধু একদিনেই জেলাজুড়ে মদ ও বিয়ারের বিক্রি ছাড়াল ৭ কোটি টাকার গণ্ডি!
প্রশাসনের হিসাবে, কালীপুজোর দিনই বিক্রি হয়েছে ৩৯ হাজার লিটার দেশি মদ, বাজারমূল্য এক কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি ৪৪ হাজার লিটার বিদেশি মদ বিক্রির অঙ্ক সাড়ে পাঁচ কোটি টাকাকে ছুঁয়েছে। তাতে প্রশাসন যেমন রাজস্ব বৃদ্ধিতে খুশি, ব্যবসায়ীরাও উল্লসিত।
আরও পড়ুনঃ আর কত মিথ্যা বলবে পাকিস্তান? অনলাইনে ‘জিহাদি শিক্ষা’ চালু করছে জইশ!
গরম আবহাওয়ায় বিয়ারের চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। একদিনে বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার লিটারেরও বেশি বিয়ার— যার বাজারমূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। জেলার বিভিন্ন দোকান ও পানশালায় কালীপুজোর দিন ছিল উপচে পড়া ভিড়। অনেকে আবার বাড়িতে বসেই অর্ডার করেছেন প্রিয় ব্র্যান্ডের বোতল।
আবগারি দফতরের সুপার সুরজিৎ সরকার ও খড়্গপুরের ওসি অংশুমান ঘোষ জানান, ‘‘চোলাই ও বেআইনি মদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। নিয়মিত তল্লাশির ফলেই বৈধ মদের বিক্রি বেড়েছে। রাজস্বও বাড়ছে।’’
মেদিনীপুর সদরের আবগারি ওসি অভিজিৎ হালদার জানান, ‘‘তিনটি মহকুমা এলাকাতেই বিক্রির অঙ্ক ছিল চোখে পড়ার মতো।’’
এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘পুজোর সময় সবাই ছুটিতে থাকে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়দের সঙ্গে আনন্দের মেজাজে মদ খাওয়া এখন প্রায় রেওয়াজ। শহরের রাস্তায় লাইন দিয়ে মানুষকে মদ কিনতে দেখা গিয়েছে।’’
কালীপুজোর এই বিক্রির ধারা এবার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও চলবে বলে আশা করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। অর্থাৎ, উৎসবের মরসুমে মেদিনীপুরের মদের বাজারে আবারও ‘চিয়ার্স’-এর রেকর্ড গড়তে পারে।





