Wednesday, 18 June, 2025
18 June, 2025
HomeদেশJyoti Malhotra: সংঘর্ষের সময়েও পাক চরদের সঙ্গে যোগাযোগ! জ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের

Jyoti Malhotra: সংঘর্ষের সময়েও পাক চরদের সঙ্গে যোগাযোগ! জ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের

পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে। কিছুদিনের মধ্যেই দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের আগে পাকিস্তানে ঘুরতে গিয়েছিলেন ভারতীয় সমাজমাধ্যম প্রভাবী জ্যোতি মলহোত্রা। ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময়েও পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে হরিয়ানা পুলিশ।

হিসার জেলার পুলিশ সুপার শশাঙ্ককুমার সবন্ত জানিয়েছেন, পহেলগাঁও কাণ্ড এবং জ্যোতির পাকিস্তান যাওয়ার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, থাকলে কী ধরনের যোগসূত্র, তা খুঁজে বার করা হচ্ছে। জ্যোতি মূলত বিভিন্ন ভ্রমণ সংক্রান্ত ভিডিয়ো পোস্ট করেন নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায়। ঘটনাচক্রে, তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় ২১ সপ্তাহ আগে কাশ্মীরের কিছু ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছিল।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, জ্যোতি একা নন, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে আরও বেশ কয়‌েক জন সমাজমাধ্যম প্রভাবীর যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। যদিও কারা জড়িত, সে বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ। হিসারের পুলিশ সুপার জানান, জ্যোতিকে জেরা করে কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। জ্যোতি ছাড়া আর কে কে পাকিস্তানিদের কাছে তথ্যপাচার করতেন, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন ম্যাপ! ইতিহাস না জেনে ভূগোল বানাচ্ছে বাংলাদেশ

জ্যোতিকে মূলত কী কাজে পাকিস্তান ব্যবহার করতে চাইছিল, তার-ও একটি আভাস মিলেছে হিসারের পুলিশ সুপারের সাংবাদিক বৈঠকে। তাঁর মতে, ‘আধুনিক যুদ্ধ’ সবসময় সীমান্তে লড়া হয় না। সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের ব্যবহার করে নিজেদের একপেশে গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পাকিস্তানি গুপ্তচরেরা সম্প্রতি নিজেদের কাজের জন্য সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের ব্যবহার করার চেষ্টা শুরু করেছে। ‘শেয়ার’, ‘ভিউ’ এবং ‘লাইক’ পাওয়ার প্রলোভনে এই ফাঁদে পড়ে যান সমাজমাধ্যম প্রভাবীরা। এ ক্ষেত্রেও তেমনই চেষ্টা চলছিল এবং ভারতের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

হরিয়ানার ধৃত সমাজমাধ্যম প্রভাবী জ্যোতি একাধিক বার পাকিস্তান ঘুরতে গিয়েছিলেন। চিনেও গিয়েছিলেন এক বার। জ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের হিসাব, তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছেন, সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জ্যোতির ঘটনা থেকে বাকিদেরও সতর্ক করে দিয়েছে হরিয়ানার পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, “অনেকে বুঝতেও পারেন না কখন তাঁরা ভুল পথে চালিত হয়ে যাচ্ছেন। তাঁর পেশা কী, তাঁর লক্ষ্য কী— সেই সব ভুলে যান। কেউ সেটিকে কী ভাবে অপব্যবহার করছেন, তা-ও বুঝতে পারেন না। অনেক সময় ছোট ছোট তথ্য, যা আপনি একেবারে সাধারণ বিষয় মনে করছেন, সেটিই উল্টোদিকের মানুষের কাছে একটি মারাত্মক তথ্য হয়ে উঠতে পারে।”

আরও পড়ুন: হাত পেতে ঘুষ নিচ্ছে ‘গুণধর’ সিভিক, ভিডিয়ো ভাইরাল 

তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীদের সামনে উঠে এসেছে একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের দরুন তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে যে, অল্প সময়ের মধ্যে একাধিকবার পাকিস্তানে গিয়েছিল জ্যোতি। এমনকি জ্যোতির সঙ্গে পাক-প্রশাসনে যুক্ত রয়েছেন এমন বেশ কিছু ব্যাক্তির আর্থিক লেনদেনের তথ্যও সামনে এসেছে। যা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

ইতিমধ্যেই জ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি আর্থিক লেনদেন সন্দেহজনক বলেও মনে হয়েছে তদন্তকারীদের। কোথা থেকে এই টাকা এসেছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে জ্যোতি একটা সময় দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। সেই সূত্র ধরেই হরিয়ানা পুলিশের একটি দল দিল্লি গিয়েছে। সেখানে জ্যোতির পরিচিতদের সঙ্গে কথাও বলছেন তাঁরা।

এদিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জ্যোতি জানিয়েছে যে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা পেতে সে পাক হাইকমিশনে গিয়েছিল। সেখানে তাঁর পরিচয় হয় পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে। কিছুদিনের মধ্যেই দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। আর এই দানিশের আমন্ত্রণেই গত বছর পাক হাই কমিশনের ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে জ্যোতিকে পরিচয়ও করিয়ে দেন দানিশ। এনিয়ে একটি ভিডিও রয়েছে জ্যোতির ইউটিউব চ্যানেলে। যা দেখেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের।

তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, এই দানিশের সূত্রেই আলি আহওয়ান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় হরিয়ানার এই ইউটিউবারের। যার সূত্র ধরেই পাক-প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জ্যোতির। আরও জানা গিয়েছে যে, নিজের বেশ কয়েকটি সূত্রকে কাজে লাগিয়ে জ্যোতি সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়াম নওয়াজ শরিফেরও ইন্টারভিউ নিয়েছিল৷ ইউটিউবে রয়েছে সেই ইন্টারভিউয়ের ভিডিও। প্রসঙ্গত, এই মারিয়াম বর্তমানে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, জ্যোতির ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তান সফরের একাধিক ভিডিও রয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার। এমনকি ইনস্টাগ্রামেও ১ লক্ষ ৩২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে জ্যোতির। শনিবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর বর্তমানে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন তিনি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন