সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ
বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে পাড়ার মহিলা ও বাচ্চাদের মারধরের অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালীপুজোর রাতে তুমুল শোরগোল পড়ল কোচবিহার শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেলঘুমটি এলাকায়। এই ঘটনায় পাঁচটি শিশু-সহ সাতজনের আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশসুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুনঃ মা দুর্গা ৯, মা কালী ৯, “মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই খড়্গ মানায়,আর কারও হাতে নয়”; বললেন রচনা
পেশায় আইনজীবী আহত মল্লিকা কার্জি। তাঁর অভিযোগ, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ বাড়ির ছোটরা রাস্তায় বাজি ফাটাচ্ছিল। এই সময় পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য তাঁর আবাসন থেকে বেরিয়ে এসে লাঠি নিয়ে বাচ্চাদের উপর চড়াও হয়। হইচই শুনে তিনি বাচ্চাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে রেয়াত করা হয়নি তাঁকেও। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের কারও পায়ে আঘাত লেগেছে। হাঁটতে পারছে না তারা। কাউকে মারা হয়েছে হাতে ও পিঠে।”
মল্লিকার স্বামী পার্থ রায় বলেন, “বরাবরই বাচ্চারা দল বেঁধে কালীপুজোর রাতে বাজি পোড়ান। আগেও অনেক এসপি ছিলেন এই পাড়ার বাসিন্দা। কিন্তু কেউ কখনও ছোটদের সঙ্গে এমন ভয়াবহ আচরণ করেননি। এই এসপি তার বাড়ির পোষ্যদের বাজিতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে লাঠি হাতে ছোটদের উপর চড়াও হন। এই ঘটনা এখানে প্রথম।”
আরও পড়ুনঃ বোনেরা প্রস্তুত; যমের দুয়ারে কাঁটা ফেলতে
তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন পুলিশসুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। তিনি জানান, রাত ১২টার পর থেকে বাজি পোড়ানো শুরু হয়। ক্রমাগত বাজি ফাটিয়ে যাচ্ছিল তারা। বারবার বারণ করা হলেও কানে তোলেনি। তাঁর কথায়,” আমি বারবার গার্ডকে পাঠিয়ে ওদের বাজি ফাটানো বন্ধ করতে বলি। কিন্তু ওরা কানে তোলেনি। বাজির আওয়াজে অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম আমি ও আমার স্ত্রী। আমার পোষ্যরাও খুব ভয় পাচ্ছিল। তাই আমি নিজে ওদের বারণ করতে গিয়েছিলাম। কেউ ওদের মারধর করেনি।”
এদিকে এই ঘটনার বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। হাইকোর্টে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই শিশুদের অভিভাবকরা।





