দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার আরও কমল! এপ্রিল মাসে এই হার ছিল মাত্র ৩.১৬%, যা গত প্রায় ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে মার্চে এই হার ছিল ৩.৩৪%, এবং গত বছর এপ্রিলে ছিল ৪.৮৩%।
এই নিম্নমুখী মূল্যবৃদ্ধির কারণে জুনের ঋণনীতিতে আবারও সুদ কমার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে টানা দু’বার মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমেছে, যা সাধারণ ঋণগ্রহীতাদের ইএমআই-এর বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব করেছে।
বাজারে শাকসবজি, ফল, ডাল এবং মাছ-মাংস-ডিমের দাম কমায় মূল্যবৃদ্ধির এই স্বস্তি এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে আলু ও টমেটোর দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তবে, একাংশের নাগরিকের অভিযোগ, খাতায়-কলমে মূল্যবৃদ্ধি কমলেও, বাজারে গিয়ে দুধ, ডিম, পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের মতো কিছু পণ্যের দাম এখনও বেশ চড়া।
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, আগামী অগাস্ট ও অক্টোবরে আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে সুদ কমতে পারে। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার মনে করছেন, জানুয়ারি-মার্চে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.২% থাকলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক আগামী মাসেই ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদ কমাতে পারে।
আনন্দ রাঠি গোষ্ঠীর মুখ্য অর্থনীতিবিদ সুজন হাজরার মতে, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবর ২০২১-এর পর এপ্রিলেই সর্বনিম্ন। খাবারের ও অশোধিত তেলের দাম কম থাকলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনার দিকে নজর দেবে। ফলে সুদ কমিয়ে শিল্পের পুঁজি জোগাড়ের খরচ কমানো হতে পারে প্রধান লক্ষ্য।