Wednesday, 30 April, 2025
30 April, 2025
HomeপাঁচমিশালিShantipur: অসময়ে, অন্নপূর্ণা পুজো, এক অজানা কাহিনী

Shantipur: অসময়ে, অন্নপূর্ণা পুজো, এক অজানা কাহিনী

শান্তিপুরের এক আঞ্চলিক পূজো অন্নপূর্ণা পূজো বড়বাজার সিদ্ধেশ্বরী তলা এলাকায় মাঘী পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়। এই অপরূপ মূর্তিতে দেখা যায় দেবী মহাদেবকে অন্ন দান করছেন। অন্যদিকে নারদমুনি রয়েছেন। এই পূজো এবার ১৭০ বছরে পড়ল।

সোনাপট্টির স্বর্ণকাররা এই পূজো পরিচালনা করলেও পুজোটি সৃষ্টি করেছিলেন শান্তিপুরের গোপালপুর নিবাসী সাহাদের জমিদার ট্রাস্টএর মালিক কুন্জবিহারী সাহা।গোপালপুরের বাসিন্দা হলেও এখন যেখানে এই পুজো হয় সেখানেই এঁদের ব্যাবসার পরিচালন কেন্দ্র ছিল।

আরও পড়ুন: Today’s Horoscope: ফাল্গুন মাসের প্রথম দিনে শোভন যোগের প্রভাব, কী আছে কোন রাশির ভাগ্যে?

তখন এই এলাকায় মাত্র গোটাপাঁচেক সোনারূপোর দোকান ছিলো। কয়েকঘর স্বর্ণবণিকও বাস করতেন।কুন্জবিহারী পুজোর  কাজে এদেরকেও সামিল করেছিলেন। কালক্রমে জমিদারী প্রথার বিলোপ এবং ব্যাবসা সংকুচিত হলে এই পুজো পরিচালনা করতে শুরু করেন স্বর্ণকারেরা। একবার পূজো চলার সময়ে অন্যান্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে কুন্জবিহারীবাবু ব্যাথিত হয়ে পূজো শেষ হওয়ার  আগেই যেন তাঁর মৃত্যু হয় বলে দেবী অন্নপূর্ণার কাছে কামনা করেন।বিসর্জনের দিন যখন বিসর্জনের আয়োজন সম্পূর্ণ, তখনই কুন্জবিহারী বাবুর মৃত্যু হয়। সেইদিন বিসর্জন স্থগিত রেখে মৃতদেহ দাহ করা হয়। কুন্জবিহারীবাবুর নাতি সদ্য প্রয়াত জহরলাল সাহার কাছ থেকে সেই থেকে দেবীকে বিসর্জনের দিন মাটির  হাঁড়িতে বেলকাঠ দিয়ে জ্বাল দিয়ে বিশেষ ধরনের শুকনো পায়েস রান্না করে ভোগ দেওয়া হয়।পুজোর পঞ্চম দিনে অন্নক্ষেত্র হয়।এইদিন মাছ রান্না করে দেবীমূর্তির সামনে দেওয়া হয়।মাছ দেওয়ার প্রসঙ্গে জহরবাবুর অভিমত হল মাছভোগ নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন: Netaji Cabin: নেতাজি কেবিন – শিলিগুড়ির ঐতিহ্যের স্বাদ

পুজোর খরচ চালানোর জন্য দেবীর নামে একটি পুকুর আছে সেই পুকুর (অন্নপূর্ণা পুকুর) যিনি লিজ নেন তাঁকে এই দিন মাছ দেওয়ার প্রথা আছে।সেই মাছই ভেজে প্রসাদ মনে করে সবাই গ্রহণ করেন।ওই মাছ দেবীর সামনে দেওয়া হলেও নিবেদন করা হয় না। বিসর্জনের দিন রাতে মালোপাড়ার অন্নপূর্ণা পুকুরের সামনে দেবীমূর্তিকে দাঁড় করিয়ে পুকুরের চারপাশে ঘুঁটে জ্বালিয়ে এক মনোরম  দৃশ্যের সৃষ্টি করা হয়।পুকুরের জলে প্রতিফলিত এই দৃশ্য দেখতে বহু মানুষ হাজির হন।এবার এই পুজো শুরু হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে। পুজো ৫ দিন ধরে চলে। পুজো শেষে সোমবার মায়ের শোভাযাত্রা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন