কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তো বটেই, দলের সচেতকও বটে। সচেতন ভাবেই তিনি খুব একটা রাখঢাক রেখে কথা বলতে পছন্দ করেন না। সে বিরোধী হোক ছাই দলের কেউ। মঙ্গলবারও তাঁর এহেন চরিত্রের অন্যথা হয়নি। দলেরই অনুগত তথা দমদমের সাংসদ সৌগত রায়কে ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করলেন কল্যাণ।
আরও পড়ুন: চাকরির পর সন্দেশে কেলেঙ্কারি! কীর্তির মাখা সন্দেশ ঘেঁটে দিলেন কল্যাণ
সদ্য লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলে কোন্দল বেঁধেছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও নাকি কল্যাণের সঙ্গে বাগযুদ্ধ হয়েছে বিস্তর। সেই নিয়েই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ রগড়ের ঢঙে নাম না করে দলের দুই সাংসদকে বিঁধছিলেন। তখনই উঠে আসে সৌগত রায়ের নাম।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সৌগতকে শুধু চোর বলেই ক্ষান্ত থাকেননি, বর্ষীয়ান রাজনীতিকের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, “সৌগত রায়ের কোনও ক্যারেক্টর নেই, নারদায় টাকা নিয়েছেন। ওঁর জন্য দলেই ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।”
বস্তুত, কল্যাণের এহেন সরাসরি সমালোচনা বা কটাক্ষ নতুন নয়। গত বছরও লোকসভায় বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা বিল নিয়ে আলোচনার সময় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন কল্যাণ। সেই মন্তব্য নারীবিদ্বেষী, এই অভিযোগ তুলে কল্যাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে আর্জিও জানান বিজেপির মহিলা সাংসদেরা।
আরও পড়ুন: স্বস্তিতে মমতা ও রাজ্য মন্ত্রিসভা; অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ
যদিও বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলার সম্ভাবনা থাকায় পরে স্পিকারের কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চান কল্যাণ। তবে নিজের দলেরই অনুগত তথা প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়কে এর আগেও একাধিকবার কটাক্ষ করলেও সরাসরি ‘চোর’ বলে নিশানা করা প্রথমই বটে। যদিও সৌগত রায় মনে করছেন, কল্যাণের এই আচরণ আসলে ক্ষমতার অপব্যবহার।
সৌগত রায় বলেন, “ওঁর থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার দরকার নেই। আমি মনে করি ওকে সচেতকের জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তৃণমূলের একজনও নেই যে ওঁকে পছন্দ করে। ওঁর ব্যবহারের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ওঁর কোনও ব্যালান্স নেই। অনেকেই বলে কল্যাণের মেন্টাল কমপ্লেক্স আছে।”