কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
কার্শিয়াংয়ে বেড়াতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম স্বপ্তনীল চট্টোপাধ্যায়। ডাউহিল এলাকার একটি হোমস্টের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কারণ আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্বপ্তনীল চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুদের।
আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা মমতার, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলে শ্রমশ্রীতে মাসে ৫ হাজার টাকা
পরিবারের দাবি, স্বপ্তনীল চট্টোপাধ্যায় যে কার্শিয়াংয়ে গিয়েছেন সে বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানতেন না। আর সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কেন পরিবারকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে এত দূর বেড়াতে এলেন স্বপ্তনীল চট্টোপাধ্যায়? ওই হোমস্টের কর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত তিন দিন আগে চার বান্ধবী ও দুই বন্ধুর সঙ্গে কার্সিয়ঙে বেড়াতে যান বছর ২৩-এর স্বপ্তনীল। শহরের একটি বেসরকারি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ুয়া সে। বাকি বন্ধু- বান্ধবীরা যাদবপুরের পড়ুয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ হোমস্টের তৃতীয় তলা থেকে হঠাৎ করেই স্বপ্তনীল চট্টোপাধ্যায় নিচে পড়ে যান। সুর্যোদয় দেখতে সে নাকি হোম স্টের ছাদে ওঠে। কিন্তু পড়ে গেল কীভাবে তা স্পষ্ট নয়।
তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ! চিকিৎসকরা সেখানে স্বপ্তনীলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাহাড়ি শহরে।
আরও পড়ুনঃ মোদীকে ফোন ‘বন্ধু’ পুতিনের, জানালেন ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে
এই বিষয়ে কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, “ছয় বন্ধু বান্ধবীরা মিলে তারা ঘুরতে এসেছিল। এরপর ভোর বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। বাকি বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোম স্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে দেখা হচ্ছে।”
মৃতের কাকা রিক্তিম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সকালে খবর পাওয়া মাত্র আমরা চলে এসেছি। ভোর বেলায় আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। কিভাবে এসব হল জানা নেই৷ পুলিশ সবটা তদন্ত করে দেখুক।”