কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
শিলিগুড়িতে বাড়ছে নকল করা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। তার মানে কি এটা প্রমাণিত হলো যে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা না করে উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে। বই না পড়ে সময় না দিয়ে ভালো রেজাল্ট চাই এই প্রবণতায় বেড়ে গেছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। দুঃখের কথা তাদের অভিভাবকেরাও এই সমস্যা নিয়ে চলছেন।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে শিশু ফিরে পেল মায়ের কোল, অথচ পুলিশের দৃষ্টিকোণে…
তারাও চান ছাত্র-ছাত্রী মানে তাদের ছেলেমেয়েরা ভালো রেজাল্ট করুক। কিন্তু সঠিক পন্থায় নয়। শিক্ষকেরা কাকে কি বলবেন, এখন সবাই বলতে ভয় পান। কারণ বললেই তো সমস্যা, প্রতিবাদের স্তর যেদিকেই যাক আক্রান্ত হতে হচ্ছে সকলকেই। সেই কারণে মুখ বুজে ছাত্র-ছাত্রীদের এই অনৈতিক কাজ দেখে যাচ্ছেন অভিবাবকেরা এবং শিক্ষকেরা। এবং তার ফলাফল কি হচ্ছে? ভবিষ্যতের দরজা অন্ধকার। কিন্তু কে বুঝবে? অথবা কে বোঝাবে? আমাদের নতুন ক্লাসে যেতে হবে, তার জন্য যাই ঘটুক না কেন ঘটে যাক।
আরও পড়ুন: হওয়া তো নয়, যেন আগুনের গোলা! সাত জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা
সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তো? এটা অর্থের বিনিময় হোক কোন সমস্যা নেই। ভালো শিক্ষকও আছেন কিন্তু তারা সাহস পান না ছাত্র-ছাত্রীদের এই অনৈতিক কাজে বাধা দিতে। কারণ বাধা দিলেই তো সমস্যা, তার চেয়ে বড় কথা যা করছে করুক পাস করে যাবে বাস তাহলেই তো হল। সমস্যার সমাধান হবে না, কিন্তু আমরা তো সমস্যায় পড়বো না, এভাবেই এগিয়ে চলেছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। নকল করে পরীক্ষায় পাশ করা আপনার অপরাধের মতো পড়ে না। অতএব…..??.