নিজস্ব প্রতিনিধি, যশপাল সিং, ত্রিপুরা:
তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পানীয় জলের সংকট যেন দীর্ঘদিন ধরে চলা এক অভিশাপের রূপ ধারণ করেছে। অথচ কৃষ্ণপুর বিধানসভায় রয়েছেন ক্ষুদ শাসক দলের মন্ত্রী এবং শরিক দলের এমডিসি। কিন্তু তারপরও পাহাড়ি এবং জনজাতি অধ্যুষিত এই এলাকায় বছরের প্রায় প্রতিটি সময় পানীয় জলের জন্য ভোগান্তির শিকার হতে হয় স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কৃষ্ণপুরের বহু গ্রামে আজও পরিশোধিত পানীয় জল পৌঁছায়নি। এর মধ্যে কাকরাচড়া এডিসি ভিলেজের হাজরা পাড়ার দুই শতাধিক পরিবার এখনো একটিমাত্র রিং কুয়ার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: ‘একটা বোতলে, একটা ফ্রি’, হাতে আর পাঁচদিন! বিনামূল্যে মদ
এদের কাছে আর কোনো স্থায়ী পানীয় জলের উৎস নেই। বাধ্য হয়ে কেউ ছড়ার জল ব্যবহার করছেন, কেউবা জমানো জল কিংবা পাহাড়ি পাথর চুঁইয়ে পাওয়া জল পান করছেন। গিরিবাসীদের জন্য সরকার থেকে কিছু সাপ্লাই পয়েন্টের ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর অনেকসময় জলে ঘাটতি থাকে। ডি ডাব্লিউ এস দপ্তর থেকে গাড়ি করে যে জল সরবরাহ করা হয়, সেটিও অনিয়মিত এবং অভিযোগ রয়েছে যে সেই জল পানের যোগ্য নয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই পানীয় জলের জন্যও অনেক সময় টাকা গুনতে হয় স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকায় পরিশোধিত পানীয় জলের সঠিক ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যতদিন না পর্যন্ত নিয়মিত এবং পরিশোধিত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে, ততদিন এই সংকট থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে, এলাকাবাসীরা এই সংকট দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, পাহাড়ি এবং জনজাতি এলাকাগুলিতে পরিশোধিত জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরও বেশি সাপ্লাই পয়েন্ট এবং পর্যাপ্ত জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হোক।
আরও পড়ুন: দিনেদুপুরে বোমাবাজি! রণক্ষেত্র জগদ্দল, অগ্নিগর্ভ জগদ্দল
পানীয় জলের এই সমস্যা কবে সমাধান হবে, তা নিয়ে জনসাধারণের মনে গভীর সংশয় রয়েছে। তবে একটাই প্রশ্ন, আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও কেন এই গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হচ্ছে না—এটাই এখন এলাকার মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়।