বুধের পর বৃহস্পতি। সুপ্রিম কোর্টে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে শুরু হল শুনানি। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে চলছে এই মামলা। আর তাতেই কমিশনকে ‘কড়া নির্দেশ’ শীর্ষ আদালতের।
আরও পড়ুনঃ ‘কন্যাশ্রী’র ১২ বছর! বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পোস্ট অভিষেকেরও
মঙ্গলবারের মধ্য়ে বিহারে বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন দুপুরে বিরতির পর শুনানি পুনরায় শুরু হতেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী কমিশনের তরফে থাকা আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “এই ভোটার তালিকায় কতজন রয়েছেন আর কতজন বাদ পড়েছেন?” কমিশনের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, “বিহারে মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে খসড়া তালিকায় নাম উঠেছে ৭.২৪ কোটি ভোটারের। নাম বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষ জনের। এর মধ্য়ে মৃত ২২ লক্ষ।”
এরপরেই কমিশনকে বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বর্তী নির্দেশ, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে যে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে, তাদের সকলের নাম ওয়েবাসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রকাশিত সেই তালিকায় বুথ উল্লেখ করতে হবে, যাতে এপিক নম্বর দিয়ে খোঁজ করলে তা পাওয়া যায়। সঙ্গে কী কারণে নাম বাদ গিয়েছে, তাও উল্লেখ করতে হবে ওই তালিকায়। প্রত্যেক জেলাস্তরের নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে এই তালিকা থাকবে। পাশাপাশি, যদি জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নিজস্ব সমাজমাধ্যম থাকে, তা হলে সেখানেও ওই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ পুতিন যুদ্ধ না থামালে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে, হুঙ্কার ট্রাম্পের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এডিআর বা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্য়াটিক রিফর্ম নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে বিহারের খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম ও বাদ যাওয়ার কারণ প্রকাশের জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানায়। যার পাল্টা কমিশন একটি হলফনামা জমা দিয়ে শীর্ষ আদালতকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে আইনত ভাবে তারা এই নাম প্রকাশে বাধ্য় নয়। সেই হলফনামায় বলা হয়, “খসড়া তালিকায় কোনও ব্যক্তির নাম কেন বাদ গিয়েছে, সেই কারণ কমিশন দর্শাতে বাধ্য নয়। এমনকি, এই নিয়ে কোনও আইনী নির্দেশিকাও নেই।“ এই হলফনামার এক সপ্তাহও কাটেনি। আর তার আগেই নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।