শিবনাথ প্রধান, সাঁতরাগাছি, হাওড়া:
ভূমধ্যসাগরের গভীর নীল রঙের নয়নাভিরাম যে রূপ আজ আমরা দেখি, ছয় মিলিয়ন বছর আগে সেটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে জিব্রাল্টার প্রণালীতে একটি পর্বতশ্রেণি গড়ে ওঠে, যা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
জলের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে প্রচণ্ড রোদের তাপে ভূমধ্যসাগরের জল ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে শুকিয়ে যায়। পরিণত হয় কিছু লবণাক্ত হ্রদ ও বিস্তীর্ণ সাদা লবণের প্রলেপে ।
আরও পড়ুনঃ ফের চিনের দূর্লভ খনিজ পেল ভারত, রফতানিতে নতুন শর্ত দিল বেজিং!
এই সময়কে বিজ্ঞানীরা বলেন ‘মেসিনিয়ান স্যালিনিটি ক্রাইসিস’। এইযুগের শেষদিকে ভূমধ্যসাগরের জীববৈচিত্র্য প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ৫৩ লক্ষ বছর আগে, একদিন এই দৃশ্য বদলে যেতে শুরু করে। যদি সেই সময় কেউ জিব্রাল্টারের পাহাড়ি পথ দিয়ে হাঁটতেন, তবে হয়তো একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেতেন,সামান্য জল পর্বতের গা বেয়ে নামছে। আটলান্টিক মহাসাগরের দিক থেকে সেই জল আসছিল।
আরও পড়ুনঃ একযোগে ইস্তফা ৬৫ সিপিআই(এম) সদস্যের, লাল দূর্গে ভাঙনের সুর
পর্বতগুলো ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছিলো। একবার শুরু হলে, সেই জলধারা আর থামেনি। ধীরে ধীরে পর্বতগুলো ডুবে যায়, ছোট ধারাটি নদীতে পরিণত হয়। তারপর নদীটা বিশাল জলপ্রবাহে রূপ নেয়। এই প্রবাহ ছিল একসাথে হাজারটা আমাজন নদীর মতো শক্তিশালী এইভাবে শেষ হয় ভূমধ্যসাগরের ৬ লক্ষ বছরের খরা।
এই প্রবল জলপ্রবাহ বা বন্যা নতুন এক ভূতাত্ত্বিক যুগের সূচনা করেছিল, যার নাম দেওয়া হয় ‘জ্যানক্লিয়ান’। এই ঘটনার নামই আজ ‘জ্যানক্লিয়ান মেগাফ্লাড’।





