Wednesday, 18 June, 2025
18 June, 2025
Homeরাজ্যSiliguri: শিলিগুড়িতে "ভবঘুরে" মহিলার সংখ্যা বাড়ছে দিনের পর দিন

Siliguri: শিলিগুড়িতে “ভবঘুরে” মহিলার সংখ্যা বাড়ছে দিনের পর দিন

প্রশ্ন এখন লোকের চোখে মুখে

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

শিলিগুড়ি পুরসভার ঠিক পিছনে এক মহিলা ভবঘুরেকে দেখা যায়, গত তিন বছর ধরে, সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় তার আস্তানা ঠিক ওই এলাকায়। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে  সন্ধ্যার পরে তার ঠিকানা হয় দীনবন্ধু মঞ্চের পিছনে। ওই মহিলা তার বাড়ি কোথায়, কি করতেন তিনি ? তার বাড়িতে কেউ আছেন কি?

আরও পড়ুন: এলেন না কানাইয়া কুমার, কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি যেন আষাড়ে গল্প!

এই প্রশ্ন এখন লোকের চোখে মুখে, দয়া পরবশত হয়ে কেউ কেউ সাহায্য করেন ঠিকই, বর্তমানে তিনি সামান্য অসুস্থ হাত এবং পায়ের অনেক জায়গা  ঘা হয়ে গেছে, ওই মহিলাকে যদি দশ টাকা দেওয়া হয় ১০ টাকা দেখলে ভয় পেয়ে যান তিনি, হয়তো কোন মানসিক যন্ত্রণা আছে এবং তার কিছু দুর্বল অতীত আছে। এই ধরনের ভদ্রমহিলা, এবং লোক শিলিগুড়িতে প্রচুর আছে। দেশবন্ধু পাড়া, বাবুপাড়া এবং সুভাষপল্লীতেও আপনি পেয়ে যাবেন এদেরকে। খাবার বা টাকার আগ্রহ খুব একটা নেই এদের, শুধুমাত্র সাহায্য চান এরা এবং ঠিক কি সাহায্য চান নিজেরাই ঠিক ভালোভাবে বলতে পারেন না। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা  এদের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেছে, ওষুধ এবং ফল দিয়ে গেছে  কিন্তু সমস্যা যেই তিমিরে ছিল  সেই তিমিরই থেকে গেছে। সারা বিশ্ব জুড়ে  এবং সারা ভারত জুড়ে ভাবো ঘুরে দের জন্য প্রচুর সহায়তার কথা ঘোষণা করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। কিন্তু মূল বিষয়টি  অজ্ঞাত থেকে যায়।

আরও পড়ুন: ভয় দেখিয়ে একাউন্ট থেকে তুলে নিতেন টাকা, গ্রেপ্তার ফাঁশীদেওয়ার মাস্টার মাইন্ড সাহিদুল

কেউ জানেই না, এদের মূল অসুখটা ঠিক কোথায়? মিউনিসিপালটির পিছনে যে মহিলা থাকেন  তিনি গত তিন বছর ধরে ওই এলাকাতেই থাকেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই  তবে সবই অস্থায়ী, ওনার জন্য স্থায়ী কোন ঠিকানা কেউ যদি দয়া করে যোগাড় করে দেন তাহলে হয়তো ওই মহিলা উপকৃত হবে, জানালেন ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি জানালেন শীত এবং বর্ষায় প্রচন্ডভাবে সমস্যায় পড়েন ওই মহিলা। জামা কাপড় নিয়ে খাওয়া দাওয়া নেই, সবই  কারো দয়ার  উপর নির্ভরশীল। অবিলম্বে উনার একটা স্থায়ী ঠিকানা বহুত প্রয়োজন জানিয়ে দিলেন এলাকার বেশ কিছু মহিলা বাসিন্দা। তারা এও জানালেন কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যদি ওই মহিলাকে নিয়ে যায়, তবে ওই মহিলার কিছু দায়িত্ব আমরাও নিতে পারব।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন