বারবার পরীক্ষার সূচি বদল নিয়ে ক্ষিপ্ত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র – ছাত্রীর।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি ল কলেজের ছাত্র তথা PSU আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক বলেন পরীক্ষার সূচি নিয়ে যে ধারাবাহিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা প্রশাসনিক অপদার্থতা, চরম অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্বহীনতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। সরস্বতী পূজার পরের দিন পরীক্ষা নির্ধারণের মতো অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কীভাবে? এরপর বোধোদয় ঘটিয়ে সেটি পরিবর্তন করা, এবং সর্বশেষ, নির্ধারিত পরীক্ষার তারিখ পুনরায় পেছানো—এ কেমন প্রশাসনিক ব্যর্থতার নিদর্শন? এমন অনিয়মের মূল উৎস কোথায়?
আরও পড়ুন: West Bengal Budget 2025: আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে এটা রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট
উৎসব কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, পারিবারিক আবেগ ও সামাজিক বন্ধনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পূর্বঘোষিত পরীক্ষার সূচি অনুসারে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে এবছর বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছিল। অথচ একতরফাভাবে পরীক্ষার সময়সূচি পাল্টে দেওয়া হলো! যারা দূর-দূরান্ত থেকে পড়তে আসে, তাদের কথা কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একবারও মনে পড়ল না? এই অবিবেচক সিদ্ধান্তের কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী নিজেদের ধর্মীয় ও পারিবারিক উৎসব থেকে বঞ্চিত হবে—এই অন্যায়ের দায়ভার নেবে কে?
পরীক্ষার ফি আদায়ের সময় কোনো গড়মিল হয় না, লেট ফাইনের ক্ষেত্রে এক পয়সাও ছাড় দেওয়া হয় না—তাহলে পরীক্ষার সূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এত অব্যবস্থা কেন? শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতি, সময়নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক ও মানসিক স্থিতিশীলতার কোনো মূল্য নেই প্রশাসনের কাছে?
আরও পড়ুন: Siliguri: নিউরো এন্ড ই এন টি মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল -এর শুভ দ্বারোদ্ঘাটন
আমরা কি এখনো ২০২৪ সালের ক্যালেন্ডারের শেকলে বন্দী? নাকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার অন্ধকার যুগে আটকে আছে? দায়িত্ববোধ কি শুধুই অলঙ্কারিক শব্দ, নাকি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সেটিকে বাস্তবায়নের সামর্থ্য রাখেন? যদি রাখেন, তবে সেটির প্রতিফলন কোথায়?