গঙ্গাসাগর মেলার মতোই তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলায় যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ নির্বিঘ্নে অংশ নিতে পারেন, সেই বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে প্রশাসনিক বৈঠকে, তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন।
শ্রাবণী মেলা ঘিরে পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে তৎপরতা বাড়তে থাকে। চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে শ্রাবণী মেলা শুরু হয়েছে, শেষ হবে ১৮ আগস্ট। তবে শ্রাবণী মেলার দিন থেকেই জলযাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুনঃ শ্রাবণের দ্বিতীয় সোমবারে আউশনেশ্বর শিবমন্দিরে হুড়োহুড়ি; পদপিষ্ট হয়ে মৃত ২
বিগত বছরের মতো এ বারেও বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হবে ধরে নিয়েই কোমর বেঁধে নেমেছে হুগলি গ্রামীণ ও কমিশনারেটের পুলিশ। মেলার ঐতিহ্য, পরম্পরা ও ধর্মীয় বিশ্বাস বজায় রেখে, ভিড়ের চাপে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সে দিকে কড়া নজরদারি রয়েছে প্রশাসনের।
দেশ, বিদেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিবভক্তদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজিতে ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে ক্লিক করলেই এক নিমেষে শ্রাবণী মেলার যাবতীয় তথ্য ও পরিষেবার সন্ধান মিলবে।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রাবণ বাবা তারকনাথের জন্মমাস। সেই কারণেই, তারকেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের পায়ে হেঁটে যাওয়ার রেওয়াজ আছে। শুক্র, শনি ও রবিবার জলযাত্রীদের জমায়েত অনেক বেশি থাকে।
বৈদ্যবাটি নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে তারকেশ্বর মন্দির পর্যন্ত দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার যাত্রাপথে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের প্রায় ৩ হাজার কর্মী মোতায়েন থাকছেন। পুলিশকর্মীদের মধ্যে সুপার পদমর্যাদার ২ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৪ জন, ডিএসপি পদমর্যাদার ২০ জন, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ৩০ জন ও গ্রামীণ পুলিশের ১৬টি থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ১৫ জন মহিলা পুলিশকর্মী শ্রাবণী মেলার আইন–শৃঙ্খলা রক্ষা ও সহায়তার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন।