আর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবেন না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান? মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জারি করা অধ্যাদেশ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করেছে ইউনূস সরকার, সামনে এসেছিল এমনই তথ্য।
এর পরেই দুই বাংলাতেই শোরগোল পড়ে যায়। এর পরেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ আসরে ইউনূসের উপদেষ্টা? বুধবার সকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. মনসুর আলি ও এএইচএম কামরুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থাকবে। তাঁরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে ‘প্রথম আলো’-কে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের হুমকি! বিতর্কের অপর নাম কবীর সুমন
তিনি আরও জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যাঁরা ছিলেন তাঁদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। যাঁরা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন এবং যাঁরা পরিচালনা করেছিলেন, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা।
এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও দাবি, ‘সংবাদ মাধ্যম ‘মিসলিড’ (ভুল পথে চালিত) হয়েছে।’ তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা, কর্মীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ৬০ জন নতুন করে আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ মৃত্যু
তাঁর মন্তব্য, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র-সহ কূটনৈতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে সহযোগী মানে তাঁদের সম্মান ক্ষুন্ন হবে, তা নয়।’ বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞাসংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হলেও তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন অনুযায়ী, শেখ মুজিবুর রহমান-সহ প্রবাসী সরকারের এমএনএ, এমপিএ এবং উল্লিখিত চার শ্রেণির লোকজন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন।