কুশল দাশগুপ্ত; শিলিগুড়ি:
গতকাল রাতে শিলিগুড়ি কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সমর্থকদের মধ্যে বলতে পারা যায় ছাত্র-সমর্থকদের মধ্যে এক লজ্জাকর মারামারির সাক্ষী হয়ে থাকলো তৃণমূল কংগ্রেস এবং শিলিগুড়ি কলেজ। ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জানা গেছে বহুদিন ধরে মতবিরোধ এবং মতপার্থক্য চলছিল। সেটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে গতকাল অনুষ্ঠানের সময়। অবস্থা এই পর্যায়ে দাঁড়ায় অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ছাত্র রাজনৈতিক দলের সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন: রাওয়ালপিন্ডির বাঙ্কারে লুকিয়ে আছেন পাক সেনাপ্রধান? কোথায় উধাও হলেন!
অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ আসলেও কোন উন্নতি হয়নি, পরে ওই দুই দলের সমর্থকরা প্রায় মাঝরাত। বেরিয়ে এসে প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ মেয়র সিপি কে ফোন করেন। মেয়র জানালেন কোনভাবেই এটা বরদাস্ত করা যাবে না। মাঝ রাতে এসে এইভাবে অত্যাচার যেহেতু এটা একটা ভদ্রপাড়া , কিভাবে এরা এই ধরনের নক্কার জনক কাজ করে বলতে পারা যাবে না। আমি জানিয়েছি পুলিশকে কোনভাবেই যেন কেউ ছাড় না পায়। তা সে যে দলেরই হোক না কেন ? অবশ্য আমি জানতে পেরেছি এর মধ্যেও প্রচুর বাইরের ছেলেও জড়িত আছে , যারা তৃণমূল কেন কোন রাজনৈতিক দলেরই নয়। ঝামেলা পাকানোর উদ্দেশ্যেই এরা এসেছিল।
আরও পড়ুন: ব্যবসার নতুন নতুন দিগন্ত দীঘার জগন্নাথ মন্দির
গতকাল সন্ধ্যা থেকেই উত্তপ্ত বাক বিতন্ডাতে জড়িয়ে পড়ে দুই ছাত্র সমর্থকেরা। অনুষ্ঠান চলছিল বলে চুপচাপ ছিল সবাই, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে ওই ঝামেলা চরম আকার নেয়। সমর্থকেরা থামানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কাজ না হয় পুলিশ এসে চেষ্টা করে। ওই দুই গোষ্ঠী সমর্থকরা চলে যায় মেয়রের বাড়ির সামনে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে মেয়র রেগে গিয়ে বেরিয়ে আসেন, শুরু হয় বিক্ষোভ। মেয়র পুলিশকে ফোন করে আদেশ দেন অবস্থা সামলে দিতে। পরে মেয়র জানালেন যেটা হয়েছে জঘন্য থেকে জঘন্যতম কাজ। ডলের মান সম্মান নষ্ট হল, আর যারা এর জন্য দায়ী কাউকে রেয়াত করা হবে না।