পরীক্ষায় ডাঁহা ফেল করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু! শিক্ষামন্ত্রীর সেই মার্কশিট প্রকাশ করলো এসএফআই। মঙ্গলবার দীনেশ মজুমদার ভবন ছাত্র-যুবর রাজ্য সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটা লাটে উঠে গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্যার্থ। এই সরকার শিক্ষাখাতে ব্যায় বরাদ্দ বাড়ায়নি। ছাত্র শিক্ষক অনুপাতে কোন ভারসাম্য নেই। প্লেসমেন্ট নেই, আরএসএস যেই শিক্ষানীতি তা আটকানোর কোন পরিকল্পনা নেই। এই রকম দশটি প্রশ্নে সম্পূর্ন ব্যার্থ ব্রাত্য বসু। ১০এ শূন্য পেয়েছেন তিনি।’’
আরও পড়ুন: Siliguri: “সৃষ্টিশ্রী মেলা”-র শুভ উদ্বোধন করলেন মেয়র গৌতম দেব
আগামী ২৭ জানুয়ারি এসএফআইয়ের বিকাশ ভবন অভিযান। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০র বিকল্প শিক্ষানীতি পূর্বেই প্রকাশ করেছে এসএফআই। সেই শিক্ষানীতি শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ওই অভিযান। এদিন ছাত্র নেতৃত্ব জানিয়েছে এই পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর যেই চার্জশিট তারা প্রকাশ করলেন তাও তুলে দেওয়া হবে শিক্ষামন্ত্রী হাতে।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে ছাত্র নেতৃত্ব অভিযোগ করেন ৮০০০ সরকারি স্কুল ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে রাজ্যের বদান্যতায়। আরও বহু স্কুলকে সংযুক্তিকরণের নামে বন্ধ করার পরিকল্পনাও আছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। ৩২৫৪টা এমন স্কুল আছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। ৬৩৬৬টা এমন স্কুল আছে যেখানে শিক্ষক সংখ্যা ১। পাশাপাশি, স্কুল পরিচালনায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন বৈঠকে উপস্থিত ছাত্র নেতৃত্ব। শিক্ষার আঙ্গিনাকে ক্রমশ ছোট করে আনার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার বিরুদ্ধে আগামী ২৭ জানুয়ারি বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআই।
আরও পড়ুন: DYFI West Bengal: খাতা কলমে নজির সৃষ্টি যুবদের, তবে ভোট বক্সে কেন এই হাল! প্রশ্ন দলের অন্দরে
দেবাঞ্জন বলেন, ‘‘সরকারি তথ্য বলছে ড্রপ আউট বেড়েছে। ২০১৮, ২০২৪ এ মিড ডে মিল প্রাপকের সংখ্যা এক। সরকার ড্রপ আউট আটকাতে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরকারের অভিমুখ স্কুল কলেজ বন্ধ কর। বেসরকারি স্কুল কলেজ আর স্বরস্বতি বিদ্যামন্দির বাড়ুক।’’
ইতিমধ্যে গোটা রাজ্যের প্রতিটা জেলায় শিক্ষার বেহাল দশা এবং ড্রপ আউটের বিরুদ্ধে ডিআই অফিস অভিযান করছে এসএফআই। আগামীকাল এই অভিযান হবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকেও নিশানা করেছে বাম ছাত্র সংগঠন। তাদের কথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মার্কশিটও তারা প্রকাশ করবেন। আট বছরে কেন কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলো না তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই রাজ্য নেতৃত্ব।