বাড়ির অন্দরমহল থেকে দেখলে মনে হবে রোদ ঝলমলে সুন্দর আবহাওয়া। আর বাইরে বেরলেই ঘামে ভিজে একাকার। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রখর আলো। বিকাল নামতেই গুম মেরে সামান্য বৃষ্টি। সব মিলিয়ে বাড়ন্ত অস্বস্তি। পুজো চলছে, আর নিশ্চিন্তে প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য হাতে সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা।
আরও পড়ুনঃ আজ আশ্বিন শুক্লা অষ্টমী তিথি; মহাষ্টমীর দিন বড়সড় সুসংবাদ পাবে এই চার রাশি
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা খুব একটা রয়েছে এমন নয়। তবে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। আর কিছু কালো মেঘ যদি নিতান্তই জড়ো হয়ে যায়, তা হলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত দেখা যেতে পারে।
অষ্টমীতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। অন্যদিকে তাপমাত্রাও অনেকটাই কম। সর্বোচ্চ রয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আপেক্ষিক আদ্রতা অনেকটাই বেশি। সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৬৩ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ এবার আরএসপির কেন্দ্রীয় কমিটি সোনম ওয়াংচুকের মুক্তির দাবী জানালো
আগামী ২৪ ঘণ্টার হিসাব খুবই সহজ। বলা চলে সপ্তমীও কেটেছে এমনই। বেশ কয়েকটা জেলায় হালকা বৃষ্টির আর অস্বস্তিকর গরম। কিন্তু হাওয়া অফিস বলছে, ২৪ ঘণ্টা পর সমীকরণ একেবারে বদলে যাবে। যে পূর্বাভাস তারাই আগেই দিয়েছিল। আন্দামান সাগরে মঙ্গলবারই ঘনীভূত হবে ঘূর্ণাবত। যার জেরে নবমী অর্থাৎ বুধবার থেকে শুরু হয়ে যাবে তুমুল বৃষ্টি। এই সময়কালে অর্থাৎ ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আলিপুর।
তারা আরও জানিয়েছে, বুধবার অর্থাৎ নবমী থেকে গোটা বাংলাজুড়েই শুরু হবে বৃষ্টিপাত। দশমীতে বাড়বে তীব্রতা। এই সময় থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে উত্তরবঙ্গেও। কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনা-সহ মোট ১১ জেলা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আবার দুর্যোগের আশঙ্কা। সেখানে দার্জিলিং-সহ পার্বত্য পাঁচ জেলাতে রয়েছে দুর্যোগের আশঙ্কা। ভারী বৃষ্টি দেখা যাবে মালদহ, দুই দিনাজপুরে। এই ভাবে ঝড়-বৃষ্টি-বাদল নিয়ে কাটাতে হবে শুক্রবার পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকেই কমবে বৃষ্টিপাত। রবিবার একেবারে হালকা হয়ে যেতে পারে বৃষ্টি।