মাঝে একটা বছর! ২০২৬ সালে রাজ্যে ফের বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য যাতে অযথা বিতর্কে না জড়িয়ে পড়েন, সেটা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে এবার রাজ্যের মন্ত্রীদের বড় নির্দেশ দিয়ে দিলেন তিনি। আগামী বছরের শুরু থেকেই এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে বলে খবর।
রাজ্যের মন্ত্রীদের আকছারই নানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা যায়। এবার এই প্রেক্ষিতেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীরা কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, এবার থেকে সেটা আগে জানাতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তাঁদের কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে কিংবা কোথায় তাঁদের উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সেটা প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর খতিয়ে দেখবে। এরপরেই এই বিষয়ক ‘অনুমোদন’ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: Potato: আলু চাষে কৃষকদের দেশি মদই ভরসা, এর উপকারিতা শুনলে হবেন অবাক
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নবান্ন সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যের এক মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেখানে মঞ্চে উঠে ওই মন্ত্রীকে সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক প্রতারণার মামলা থাকার জন্য দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
ইতিমধ্যেই সেই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে খবর। এরপর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নাম না করে রাজ্যের ওই মন্ত্রী এবং তাঁর সতীর্থদের সতর্ক করেন মমতা। সেই সঙ্গেই দেওয়া হয় নয়া নির্দেশের কথা। এবার থেকে মন্ত্রীরা কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, সেটা আগে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানাতে হবে। ২০২৫ সালের শুরু থেকেই নয়া নির্দেশ লাগু হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মমতার এই নির্দেশ প্রসঙ্গে দলের প্রথমসারির নেতাদের একাংশের মতে, এটা থেকে স্পষ্ট, আর্থিক অনিয়মে জড়িত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগসূত্র থাকলে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বা বিধায়ককে টিকিট না-ও দেওয়া হতে পারে। রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভাবমূর্তি যাতে ‘স্বচ্ছ’ ও ‘উজ্জ্বল’ থাকে এবার সেটাই সুনিশ্চিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিকে নজর রেখেই জারি করা হয়েছে ওই সতর্কবার্তা।