ভীত দুর্বল হচ্ছে ক্রমশ, পা টলমল! ‘ভুল’ বুঝতে পেরে ছাব্বিশের ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বামেরা। দলের সাংগঠনিক অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। দক্ষিণ কলকাতায় সংগঠনের সামান্য কিছু উন্নতি হলেও উত্তর কলকাতার অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে সংগঠনের কোনও উন্নতি নেই। এমনকি তার কোনও আঁচও মিলছে না। সিপিআইএম কলকাতা জেলা কমিটির রাজনৈতিক সাংগঠনিক খসড়া প্রতিবেদনে উঠে এল একগুচ্ছ আশঙ্কার কথা।
আরও পড়ুন: Rabindra Nath Tagore: যত্নের অভাবে বেহাল অর্চনা ডাকঘর
এক সময় বস্তি অঞ্চলে শক্তিশালী ছিল সিপিআইএমের সংগঠন। সেখানে বস্তি সংগঠন কার্যত উঠে গিয়েছে। এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে একটা পতাকা লাগানোর লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। বস্তি সংগঠন নড়বড়ে হলে কোনওভাবেই ভোটে ভাল ফল করা সম্ভব নয়। মনে করছেন কলকাতার বাম নেতারা। একইসঙ্গে সংগঠনে মহিলা নেতৃত্বের ঘাটতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সাংগঠনিক খসড়ায়। সংগঠনে মহিলাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার প্রশ্নে বড় দুর্বলতা রয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে নেতৃত্ব দিলেন মহিলারা। অসংখ্য মহিলা পথে নামলেন। কিন্তু, সংগঠনের নেতৃত্বে তুলে আনার ক্ষেত্রে ভীষণ দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে ইস্যুত্তিক আন্দোলনের ক্ষেত্রেও যে দুর্বলতা প্রকট সে কথাও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। স্থানীয় ইস্যুতে আন্দোলন নেই জেলার। শুধু কেন্দ্রীয় মিছিল (যার অনেক গুলো রাজ্য কমিটির) , সভাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কোনও আন্দোলনকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যে সাংগঠনিক শক্তি লাগে তা নেই বলেই চলে। তাই এই অবস্থারও বদল দরকার বলে মনে করছেন শহরের নেতারা।
আরও পড়ুন: Today’s Horoscope: আজ ৫ জানুয়ারি রবিবার, ছুটির দিনে কি লক্ষ্মীলাভ হতে চলেছে আপনার?
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভা বসে মুজফ্ফর আহমদ ভবনে। সেখানে আবার উঠে আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে বেনজির ঘটনার প্রসঙ্গ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক রতন বাগচী সরাসরি বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উপদলীয় কার্যকলাপের অভিযোগ করেছিলেন। জেলা কমিটি ১৮ জন প্যানেল থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধেই গোষ্ঠী রাজনীতির অভিযোগ করেন ওই বৈঠকে। যা নিয়েও বিস্তর চর্চা চলেছিল বঙ্গ বামের অন্দরে।