চাঁদে প্রথমবারের মতো মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের পরীক্ষা করবে নোকিয়া। কোনো স্মার্টফোন যদি মহাকাশ যাওয়ার পথ এবং চাঁদের প্রতিকূলতা সহ্য করতে পারে তাহলে স্মার্টফোনটি এই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে। এরজন্য “লুনার সিম কার্ড” নামের বিশেষ সিম কার্ডের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: ভুয়া ভোটার নিয়ে সরব মেয়র ও ডেপুটি মেয়র
চাঁদে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাঠানোর কথা শুধু মাত্র বিজ্ঞানের কল্পকাহিনীতে থাকলেও এটি বাস্তব হতে চলেছে। নোকিয়া এবং ইন্টুইটিভ মেশিনস একসাথে নোকিয়ার “লুনার সারফেস কমিউনিকেশন সিস্টেম” চাঁদে স্থাপনের প্রক্রিয়াটির পরিকল্পনা সম্পন্ন করেছে। এ সিস্টেমটি ইন্টুইটিভ মেশিনসের আই এম-২ মিশন ল্যান্ডার “অ্যাথেনা” তে যুক্ত করা হয়েছে। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা এই মিশনটি একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার এবং একটি হপার নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাবে। আইএম-২ মিশনটি চাঁদের কক্ষপথে একটি যোগাযোগ উপগ্রহও স্থাপন করবে। নোকিয়ার এ মিশনের কেন্দ্রবিন্দু হলো চাঁদে 4G নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।নোকিয়ার বেল ল্যাবস সলিউশনস রিসার্চের সভাপতি থিয়েরি ক্লেইন বলেন,”আমরা দেখতে চাই যে, সেলুলার নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিগুলো ভবিষ্যতে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে মহাকাশচারী যুক্ত এবং না যুক্ত থাকা মিশনের জন্য নির্ভরযোগ্য ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক প্রদান করতে পারবে।অ্যাথেনার কার্বন কম্পোজিট প্যানেলগুলোর একটির সাথে লুনার সারফেস কমিউনিকেশন সিস্টেম নেটওয়ার্কটি যুক্ত করা হয়েছে। মহাকাশের পরিবেশ সহ্য করতে ইন্জিনিয়াররা এটিকে অ্যাথেনার থার্মাল প্রটেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে সুরক্ষিত রেখেছে। যা চরম তাপমাত্রায় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিকে সুরক্ষা দেবে।
আরও পড়ুন: ৩৫০০ কোটি টাকার বিনিময়ে! বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কলকাতার বিলাসবহুল শপিং মল
কিন্তু এই মিশনের কার্যক্ষমতা স্বল্পস্থায়ী হবে। এলটিই প্রযুক্তির ফ্রিকোয়েন্সি (৭০০ মেগাহার্জ থেকে ২.৬ গিগা হার্জ) রেডিও প্রযুক্তির ফ্রিকোয়েন্সির সীমার কাছাকাছি হওয়ায় চাঁদ থেকে আসা তথ্য পর্যবেক্ষণে সমস্যা হতে পারে।কারণ,উভয়েরই ফ্রিকোয়েন্সি কাছাকাছি হওয়ায় চাঁদ থেকে উভয়ের পাঠানো সংকেত পার্থক্য করতে সমস্যা হতে পারে।যদি নেটওয়ার্কটি ঠিকমতো কাজ করে তবে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চাঁদে যোগাযোগ করতে পারবে।