নিজস্ব প্রতিনিধি, যশপাল সিং; ত্রিপুরা:
গুনগত শিক্ষা আহরণে মেধাবী কন্যা সন্তানদের জন্য দুরত্ব যেনো কখনোই বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, এই ভাবনাকে সামনে রেখে ত্রিপুরা রাজ্যে পড়ুয়া বিভিন্ন পর্ষদ পরিচালিত উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী ১৪০ জন ছাত্রীকে ‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনায়’ স্কুটি প্রদান করছে রাজ্য সরকার। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিক এক সুন্দর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে নির্বাচিত ছাত্রীদের হাতে স্কুটি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা: মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত সকলেই। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে স্কুটি পেয়ে বেশ খোশ মেজাজেই দেখা গেছে ছাত্রীদের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার আগে নবম শ্রেণীর প্রায় দেড় লক্ষ ছাত্রীদের মধ্যে, বাইসাইকেল প্রদান করেছে। তারপর আমরা যখন বলতাম স্কুটিও দেবো, তখন বিরোধীরা এটাকে নিয়ে ভ্রুকুটি করেছে। আজ উচ্চশিক্ষায় মেধাবী ছাত্রীদের হাতে স্কুটি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে, সেই প্রতিশ্রুতিও কথায় কাজে ঠিক রেখে বাস্তবায়িত হল।
আরও পড়ুন: দোলে নিরামিষ খাওয়ার ফতেয়া, ব্যাপক শোরগোল
তবে একই দিনে একগুচ্ছ প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে পথচলা শুরু করে। এর মধ্যে একটি ছিল ফরেন্সিক ভ্যান। দ্রুত অপরাধ নির্মূলীকরণে আধুনিক ফরেন্সিক ভ্যান এক সূদুরপ্রসারী ব্যাবস্থাপনা, বিশেষ করে অপরাধী সনাক্তকরণে এর প্রয়োগ ব্যাপক।
এই বিশেষ দিকটি নজরে রেখে পূর্বের তিনটি ও আজ ৫ টি সহ মোট ৮ টি মোবাইল ফরেন্সিক ভ্যান রাজ্যের ৮টি জেলার জন্য ফ্ল্যাগ অফ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লিখৈন, আধুনিক ফরেনসিক ভ্যান অপরাধ তদন্ত এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে অপরাধীদের সনাক্ত করার জন্য।
এই কথা মাথায় রেখে, আজ চালু হল মোট 8 টি মোবাইল ফরেনসিক ভ্যান, বিদ্যমান ৩ টি তে ৫ টি নতুন যোগ করে রাজ্যের সমস্ত ৮ টি জেলার সেবা করার জন্য।
এছাড়া ত্রিপুরায় পর্যটন বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিল ত্রিপুরা সরকার।
আরও পড়ুন: ইদের কেনাকাটা করতে এসে পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু এক শিশু-সহ ৭ জনের
তাজ পুষ্পাবান্ত প্যালেস হোটেলের উন্নয়নের জন্য ত্রিপুরা সরকার এবং ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানি লিমিটেড (আইএইচসিএল) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় আজ। চারটি অনন্য কক্ষ এবং রাজকীয় যুগের ছোঁয়া সহ বিশ্বমানের ৫ তারকা হোটেলটি রাজ্যের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে, যা বিশ্বের মানুষকে ত্রিপুরার মহারাজাদের সম্পর্কে আরও জানতে সক্ষম করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধূরী, শান্তনা চাকমা সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
এদিকে আজ নির্দিষ্ট দক্ষতা শ্রমিক প্রকল্পের অধীনে ছয় জন নার্সিং সেবা প্রদানকারীকে সংবর্ধনা প্রদান করে রাজ্য সরকার। এই ছয় জন নয় মাসের জাপানি ভাষা কোর্স শেষ করে জাপানে যাত্রা শুরু করতে প্রস্তুত। প্রধান মন্ত্রী দক্ষতা প্রকাশ এবং জাপান এবং দক্ষতা উন্নয়নের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক, ত্রিপুরা বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্র আরো সুযোগের পথ সুগম করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লিখেন, একটি গর্বিত মুহূর্ত যখন আমাদের মেধাবী তরুণরা তাদের দক্ষতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে।