চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের উপরে লাঠিচার্জ। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ। বিধাননগর কমিশনারেটের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানালেন এক আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাসঘাতক’ তুরস্কের সংস্থার হাতেই ছিল দেশের নিরাপত্তা! বাতিল পারমিট
ফের একবার আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিহারারা। তাদের বিক্ষোভ ঘিরে গতকাল উত্তাল হয় বিকাশ ভবন। দুপুরের বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। রাত বাড়তেই আরও বাড়ে উত্তেজনা, আন্দোলনকারীদের উপরে লঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত এক পুলিশকর্মীও।
গত রাতের এই ঘটনা নিয়ে এবার বিধাননগর কমিশনারেটের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানালেন আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায়।
বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ ঘিরে গতকাল যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়েই প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়ে ইমেলের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিনেই সাধ্য যোগের প্রভাব, সাফল্যের শিখরে পৌঁছবে এই চার রাশি
এদিকে, মার খেয়েও মাটি কামড়ে বসে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। রাতভর তারা বিকাশ ভবনের বাইরেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন। কোনওভাবেই আর পরীক্ষায় বসবেন না তারা, সাফ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, চাকরি ফেরত দিতেই হবে। গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে আজ ধিক্কার দিবস পালন করা হবে। নায্যভাবে চাকরি যতক্ষণ রাজ্য সরকার ফিরিয়ে দেবে না, ততক্ষণ এভাবেই বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে চলবে বলে জানিয়েছেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।