Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
HomeদেশCensus: ডিজিটাল জনগণনার দিনক্ষণ ঘোষণা কেন্দ্রের

Census: ডিজিটাল জনগণনার দিনক্ষণ ঘোষণা কেন্দ্রের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্বাধীন ভারতের এই অষ্টম এবং দেশের মোট ১৬-তম জনগণনা হবে আরও একাধিক কারণে ঐতিহাসিক।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে ১৬তম জাতীয় জনগণনা। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জনগণনার দিনক্ষণ জানাল। মোট দুদফায় চলবে এই প্রক্রিয়া। ২০১১ সালের পর হতে চলা এই জনগণনার প্রথম পর্যায় হবে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর এবং দ্বিতীয় দফায় হবে ২০২৭ সালের ১ মার্চ। রবিবার দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জনগণনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ভারতের জনগণনা কমিশনার-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক।

আরও পড়ুন: ইরানের সঙ্গেও ‘গদ্দারি’ করল পাকিস্তান

প্রথম পর্যায়ে থাকবে গৃহতালিকা নির্ণয়ের কাজ। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে পারিবারিক সম্পদের বিবরণ, পারিবারিক আয়, বাড়ির অবস্থা এবং বাড়িতে কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, এসব বিষয়ক। দ্বিতীয় পর্বে হবে জনগণনার মূল পর্ব অর্থাৎ জন্মহার ও নিয়ন্ত্রণ, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কিত। এবারেই প্রথমবার জাতিভিত্তিক জনগণনা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্বাধীন ভারতের এই অষ্টম এবং দেশের মোট ১৬-তম জনগণনা হবে আরও একাধিক কারণে ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার, জনগণনার আওতায় আনা হবে জাতি অনুসারে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াও। অমিত শাহ জানিয়েছেন, জনগণনার কাজ পরিচালনার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকর্মী ও সুপারভাইজার এবং ১.৩ লক্ষেরও বেশি প্রশাসনিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে অত্যাধুনিক ডিজিটাল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: লটারি লেগে গেল! হাজার হাজার কোটির সম্পত্তি; জ্যাকপট পেল ভারত

এই প্রথম জনগণনায় থাকছে নাগরিকদের জন্য সেল্ফ এনুমারেশন-এর সুযোগও। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের তথ্য নিজেই দিতে পারবেন নাগরিকরা। দুই ধাপে চলবে এই জনগণনা। প্রথম ধাপ ‘হাউসলিস্টিং অপারেশন’ বা গৃহতালিকা তৈরির পর্যায়, যেখানে প্রতিটি পরিবারের বসবাসের পরিস্থিতি, সম্পত্তি এবং পরিকাঠামোর মতো তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ‘জনসংখ্যা গণনা,’ যেখানে ব্যক্তি পর্যায়ে জনসংখ্যার হার, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত কঠোর তথ্য নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা হবে। দেশজুড়ে এই বিশাল কর্মযজ্ঞে প্রথমবারের মতো জাতি অনুসারে তথ্য অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর ফলে দেশের জনমিতিগত কাঠামো এবং সামাজিক বাস্তবতাকে আরও বিশদভাবে বোঝা যাবে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন