Monday, 23 June, 2025
23 June, 2025
Homeআন্তর্জাতিক নিউজIran: 'চূড়ান্ত শাস্তি'র বার্তা! হুংকার খামেনেইর

Iran: ‘চূড়ান্ত শাস্তি’র বার্তা! হুংকার খামেনেইর

গোটা ঘটনাকে ‘বেপরোয়া উসকানি’ বলে আখ্যা দিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, 'শত্রুরা কঠিন ও চূড়ান্ত শাস্তি পাবে।'

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে আমেরিকার বিমানহানার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। গোটা ঘটনাকে ‘বেপরোয়া উসকানি’ বলে আখ্যা দিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘শত্রুরা কঠিন ও চূড়ান্ত শাস্তি পাবে।’ সরাসরি আমেরিকা ও ইজরায়েলকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ‘বড় ভুল করেছে, এ অপরাধ বিরাট! শাস্তি পেতেই হবে এবং শাস্তি দেওয়ার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।’

রবিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালায়। তারপর ইরানের তরফে বিভিন্ন সময় বার্তা দেওয়ার পর এবার মুখ খুললেন সেখানকার সর্বোচ্চ নেতা। এক্স-এ একটি পোস্ট করে খামেনেই লিখেছেন, ‘দ্য পানিশমেন্ট কনটিনিউস। দ্য জিওনিস্ট এনিমি হ্যাস মেড আ বিগ মিসটেক, কমিটেড আ বিগ ক্রাইম। ইট মাস্ট বি পানিশড অ্যান্ড ইট ইজ বিয়িং পানিশড। ইট ইজ বিয়িং পানিশড রাইট নাও।’ অর্থাৎ শাস্তি দিতেই হবে। শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণের মাশুল গুনতে হবে।

আরও পড়ুন: বিপাকে সুকান্ত! যৌনকর্মীদের সঙ্গে আইনের তুলনা; বড়তলা থানায় অভিযোগ

জানা গিয়েছে, রবিবার ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্র সংলগ্ন পাহাড়ের উপর ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের ‘বাঙ্কার-বাষ্টার’ বোমা ফেলেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। ফোর্দো ছাড়াও আরও দু’টি পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করা হয়। ইরানের দাবি, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে এই হামলা ছিল সবচেয়ে গুরুতর পশ্চিমি সামরিক পদক্ষেপ।

হামলার পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আমেরিকাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকাকে তাদের আগ্রাসনের জবাব দিতেই হবে।’ এক ফোনালাপে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রোকেও তিনি এই একই কথা জানান। এই পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেন।

আরও পড়ুন: কলকাতায় গোয়েন্দাদের জালে ৩; কসবায় বসে সিরিয়ায় যোগাযোগ

আমেরিকার আক্রমণের পরই প্রত্যাঘাত স্বরূপ পাল্টা ইজরায়েলে হামলা চালায় তেহরান। ঘটনায় তেল আভিভ-সহ একাধিক শহরে বিরাট ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে এসেছে। বহু বাড়ি-ঘর ভেঙে ধুলোয় মিশেছে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ জনের,  জখম বহু।

এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক চেয়ে আবেদন করেছে তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সইদ ইরাভানি পরিষদে বলেন, ‘ইজরায়েল ও আমেরিকা কূটনীতি ধ্বংস করেছে। আন্তর্জাতিক চুক্তির অপব্যবহার করেছে।’ অভিযোগের সুরে তিনি দাবি করেন, পরমাণু অস্ত্র প্রসারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি এখন একটি রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, যা নিরপেক্ষতার বদলে পক্ষপাতদুষ্ট হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

ইরাভানি পরিষদে আরও বলেন, ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বৈধ অধিকার রক্ষার বদলে এখন এই চুক্তিকে আগ্রাসনের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে আমাদের দেশের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়েছে।’

ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে হঠাৎ আমেরিকার মধ্যস্থতা বিষয়টিকে আরও জটিল ও ভয়াবহ করে তুলেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন