২৭শে জুলাই বিশ্ব হেড-নেক ক্যান্সার দিবস। এই উপলক্ষে স্টুডেন্টস’ হেলথ হোম, কলকাতা তাদের প্রথম ‘কন্টিনিউয়িং মেডিক্যাল/ডেন্টাল এডুকেশন’ অনুষ্ঠান আয়োজন করে শনিবার, ২৬শে জুলাই ২০২৫ ।
ভারতে পুরুষদের মধ্যে হেড-নেক ক্যান্সার অন্যতম প্রধান ক্যান্সার এবং পূর্ব ভারতে হেড-নেক ক্যান্সারের মধ্যে মুখের ক্যান্সারই সবচেয়ে বেশী দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়া মেডিক্যালে ‘ভয়ের পরিবেশ’! সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা
এই রোগগুলি মূলত জীবনধারাজনিত, কারণ তামাক ব্যবহারই এর সর্বাধিক প্রধান কারণ। আক্রান্তরা সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষ। আর্থিক সীমাবদ্ধতা বা পেশাগত ব্যস্ততায় এবং সচেতনতার অভাবে প্রায়শই দেরিতে চিকিৎসা করাতে আসেন। এই ক্যান্সারগুলির চিকিৎসা সাধারণত মুখ মন্ডলের বড় বড় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হয়, মুখাবয়ব পরিবর্তন হয়ে যায়, যা রোগী এবং তাঁর পরিবারের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।স্বাভাবিক কার্যকারিতা ও মুখের চেহারা চলনসই ভাবে রক্ষার জন্য উচ্চমানের প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন হয় ।
এই অনুষ্ঠানে বক্তারা ক্যান্সারের কারণ ও বিকাশ, নির্ণয় এবং চিকিৎসা (অঙ্কোসার্জারি, পুনর্গঠন, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি) নিয়ে আলোচনা করেন।
স্টুডেন্টস’ হেলথ হোম-এর রাজ্যজুড়ে ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে এবং তারা রাজ্যব্যাপী একটি ওরাল ক্যান্সার স্ক্রীনিং প্রোগ্রাম চালুর কথা ভাবছে। এই উদ্যোগে সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি হল “ট্রেন দ্য ট্রেইনার্স”, অর্থাৎ অচিকিৎসকদের এমন একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা, যারা ওরাল ক্যান্সারের লক্ষণ চিনে নিতে পারবে ও তা রিপোর্ট করবে। আশা করা যায়, এর ফলে রোগ দ্রুত ধরা পড়বে ও সফলভাবে চিকিৎসা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে এটিএম লুটের সঙ্গে জড়িত বিহারের দুষ্কৃতীরা?
পাশাপাশি, SHH আরও কঠোরভাবে তামাক বিক্রি ও ব্যবহারে বিধিনিষেধ আনার জন্য সচেষ্ট হবে এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজ করবে, যাতে তারা অল্প বয়সেই ক্ষতিকারক তামাকের অভ্যাসে না জড়িয়ে পড়ে।