খাস কলকাতায় আক্রান্ত বিজেপি নেতা। বাড়ির কাছেই বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক টিঙ্কু পোদ্দারের ওপর হামলার অভিযোগ। বিজেপি করায় লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকর্মী। বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যদের ওপরেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে শীঘ্রই শুরু হবে এসআইআর? জবাব দিল নির্বাচন কমিশন
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। স্থানীয় মন্দিরের জন্মাষ্টমী উৎসবে লোক নেই , সবাই মাতঙ্গিনী ক্লাবে ফুটবল খেলার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, এই নিয়ে ক্লাবে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে টিঙ্কুর বড় দাদা। অভিযোগ, এই নিয়েই টিঙ্কুর বড় ভাইয়ের সঙ্গে ক্লাব সেক্রেটারির বচসা ও হাতাহাতি বাঁধে। ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন টিঙ্কুও । এরপর বাইরের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত টিঙ্কু বলেন, “যখন ওরা লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারছিল, তখনও প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল বার করার চেষ্টা করছিলাম, ১০০ নম্বর ডায়াল করব বলে। মোবাইলটা ভেঙে দিল। বিজেপি করার অপরাধে এরকমভাবে মেরেছে। ওরা সব সিন্ডিকেট করে। পাড়ার ঝামেলা পাড়াতেই মিটে গিয়েছিল। কিন্তু সব মিটে যাওয়ার পর ওরা এসে তাণ্ডব শুরু করে।”
এর পিছনে পুরনো শত্রুতা রয়েছে বলে অভিযোগ টিঙ্কুর। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে বিজেপি যখন ১৮টা সিট পায়, তখন ক্লাবের পিছনে একটা দলীয় কার্যালয় বানিয়েছিলাম আমরা। তখন সিন্ডিকেটের এই লোকগুলোই এসে ভাঙচুর করে, বোমা মারে। তখন থানায় অভিযোগ করেছিলাম। আর সেই আক্রোশে তখনও আমার বাড়িতে এসে ভাঙচুর করে।”
আরও পড়ুনঃ AI ডেটা সেন্টার তৈরিতে বাংলায় বিপ্লব, বাড়বে কাজের সুযোগ
কসবার মাতঙ্গিনী স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি শঙ্কর নস্কর বলেন, “ঝামেলা হয়েছিল। প্রত্যেকেই পাড়ার লোক। আমরা গিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে দিই। তখন আবার পিছন থেকে হামলা করে। তখনও আমরা যাই।” বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” বিরোধী রাজনীতি করা যাবে, এটা তৃণমূলের অলিখিত নিয়ম রয়েছে। যখনই আমাদের কোনও কার্যকর্তা সক্রিয় হয়, তৃণমূল আক্রমণ করে।” যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।