সাহেব দাস, তারকেশ্বরঃ
টানা ১২ ঘণ্টার জন্য খানাকুলকে ‘নিস্তব্ধ’ রাখতে যায় বিজেপি। রবিবার শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় খানাকুলে। বিজেপির কার্যালয়ে চলে ভাঙচুর, অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ইট-পাটকেল উড়ে আসে পুলিশের দিকেও।
এরপর সোমবার সকাল থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘বর্বরতার’ অভিযোগ তুলে পথে নামে বিজেপি। ডাক দেয় ১২ ঘণ্টা বনধের। পাশাপাশি, খানাকুল থানা ঘেরাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। তবে এই ১২ ঘণ্টার বনধকে একেবারে ভেঙে দিতে পথে নামতে চলেছে শাসক শিবিরও।
আরও পড়ুনঃ সিবিআই মামলাতেও পার্থকে জামিনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনধ ডাকার পর খানাকুলের আরামবাগ গড়েঘাট এলাকার রাস্তার উপরে গাছ কেটে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যার জেরে বিঘ্নিত হয় যানচলাচল। অন্যদিকে, খানাকুলের একাধিক জায়গা মিলিয়ে সোমের সকালে বন্ধই থেকেছে দোকানপাট। এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বেশ কিছু দোকান তৃণমূল সমর্থকের হলেও, বিজেপির প্রতিবাদে তারা সাড়া দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বনধে যেন সমর্থন জুগিয়েছে বাস চালকরাও। খানাকুলের বন্দর-আরামবাগ বাস চলাচল আপাতত বন্ধ। তবে আরামবাগ-খানাকুলের বর্ডার পর্যন্ত বাস চলাচল করছে। এক বাস চালক বলেন, “খানাকুলে কোনও গাড়ি যাচ্ছে না। বনধ ডেকেছে। যখন বুঝব চালাতে হবে, তখন চালাব।” তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় সকাল পর্যন্ত বন্ধই দেখা গিয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ও।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি অভিযানের আগেই ধরপাকড়; সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে পুলিশ
একদিকে বিজেপি মাঠে নেমেছে বনধ সফলে, সেই মুহূর্তে শাসক শিবির নেমেছে তার বিরোধিতায়। আর এই দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রস্তুত পুলিশ। শুরু হয়েছে টহলদারি। মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তার বেষ্টনী। উল্লেখ্য, এই বনধের কথা শোনা গিয়েছে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও। রবিবার তিনি বলেন, “সোমাবার খানাকুলে ১২ ঘণ্টা বনধ রয়েছে। কলকাতায় ওই দিন আমার একটা প্রোগ্রাম রয়েছে, তাই আমি যেতে পারছি না। তবে কয়েকদিনের মধ্যে যাব। থানা ঘেরাও হবে।”