বঙ্গ বিজেপির ম্যারাথন বৈঠক চলল সল্টলেকের পাঁচতারা হোটেলে। বুধবার রাত থেকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বিএল সন্তোষ। এদিন সকাল থেকেও দফায় দফায় চলেছে বৈঠক। সূত্রের খবর, কখনও বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথাও বলেছেন বিএল সন্তোষ। আবার কখনও একসঙ্গে সকল নেতাদের সঙ্গেই কথা বলছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘সব অভিযোগ ভিত্তিহীন’, জল ঢালল কমিশন; রাহুলের হাইড্রোজেন বোমা ফেলার আগেই
বিএল সন্তোষ তো বটেই এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্যরা। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যয়, দীপক বর্মনরাও। শুধু বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব নয়, বৈঠকে উপস্থিত আছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং তার কয়েকটি শাখা সংগঠনের নেতৃত্বও। উপস্থিত আছেন জলধর মাহাতো, শচীন্দ্র নাথ সিনহা, রমাপদ পাল, জিষ্ণু বসু, প্রদীপ জোশি-সহ এই রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃ মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর হাইস্কুলে সন্ধে নামলেই স্কুলে বসছে মদের আসর
এদিকে ভোটের বাকি আর মেরেকেটে ক’টা মাস। তার আগে এই বৈঠক নিঃসন্দেহ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এদিকে চলতি মাসেই আবার রাজস্থানের যোধপুরে হয়ে যায় আরএসএসের তিনদিনের বৈঠক। সেখানেও যোগ দিয়েছিলেন সংঘ পরিবারের বেশ কিছু শীর্ষ প্রচারকরা। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিরও বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় নেতা। সেখানেও বাংলায় অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগের সুর ধরা পড়েছিল। বৈঠকে সঙ্ঘের প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেরকর সাফ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রভাব এপার বাংলাতেও পড়েছে। একদিকে যেমন অনুপ্রবেশ বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে অনুপ্রবেশকারীদের তাণ্ডব। এই সমস্যার এখনই নিষ্পত্তি প্রয়োজন। এদের কারণে হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।”