কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
সরকারি জমি দখল করলে বুল ডোজার চালানোর নির্দেশ জেলা শাসকের। অভিযোগ উঠেছে, তিনি নাকি থানার আইসি-কে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘জেসিবি লাগাও, উসকো হঠাও।’ একই সঙ্গে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ করা হলেও হচ্ছে না কাজ, সেই সব পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধমক পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত আধিকারিকদেরও।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে পাওয়া গেল বন দপ্তরের ছাড়পত্র, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে পাইপলাইন পাতার অনুমতি
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ব্লকের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের জন-প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায়, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, দুই বিডিও, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার সহ বিভিন্ন স্তরের জন-প্রতিনিধিরা।
মূলত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কতটা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, পঞ্চায়েতগুলো কীভাবে উন্নয়নমূলক কাজে টাকা ব্যবহার করতে পেরেছে, এখনও কী কী সমস্যা রয়েছে, এসব নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। বেশ কিছু পঞ্চায়েত টাকা থাকা সত্ত্বেও এখনও সঠিকভাবে উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করতে পারেনি। এই নিয়ে রীতিমতো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন জেলাশাসক।
আরও পড়ুনঃ ছুটবে না ‘উড়বে’! কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি এক ঘণ্টায়; টিকিটটা আজ কেটে ফেলুন
হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় বারবার সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই ক্ষেত্রে দখলে থাকা সরকারি জমি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদের নির্দেশও দেন নিতিন সিংহানিয়া। বৈঠক শেষে বারোদুয়ারি ডিয়ার পার্কে দুটি উদ্বোধনী কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা শাসক নিতিন সিঙ্ঘানিয়া। উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনের রিভিউ বৈঠকে সঠিক সময়ে টাকা খরচ করতে না পারা নিয়ে বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে ধমকও দেন জেলা শাসক। বেঁধে দেওয়া হল নির্দিষ্ট সময়সীমা।