Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
HomeহুগলীKonnogar: ৩২৫ বছর প্রাচীন রাজরাজেশ্বরী পুজোয় সম্মান সাফাইকর্মীদের

Konnogar: ৩২৫ বছর প্রাচীন রাজরাজেশ্বরী পুজোয় সম্মান সাফাইকর্মীদের

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

জলা জঙ্গলে ঘেরা অঞ্চলের মধ্যেই ছিল মানুষের বসতি। স্থানীয় মানুষের মঙ্গল কামনা করে দেশের পরাধীনতা মোচন করতে স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভারতমাতা রূপে রাজরাজেশ্বরী মাতাকে প্রতিষ্ঠা করেন গুটি কয়েক মানুষ।

দেশাত্ববোধ ও ধর্মীয় বিশ্বাসে ভর করেই ৩২৫ বছর ধরে কোন্নগরের ঘোষাল বাড়ি লাগোয়া মন্দিরে পূজিত হন আদি রাজরাজেশ্বরী মা। বুধবার মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে মন্দিরে রাজরাজেশ্বরীকে পুজো দিলেন ভক্তরা। যাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল ১১টা নাগাদ ঢাকঢোল বাজিয়ে মহাযজ্ঞের পর পুষ্পাঞ্জলি দেন ভক্তেরা।

আরও পড়ুন: Shantipur: অসময়ে, অন্নপূর্ণা পুজো, এক অজানা কাহিনী

রাজরাজেশ্বরী কার্য নির্বাহক সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে রাজরাজেশ্বরী মায়ের বিশেষ পূজা হয়। সরস্বতী পুজোর দিন পঞ্চমী তিথিতে প্রতিমার কাঠামো পুজো হয়। তার পরেই মায়ের মূর্তি তৈরি শুরু হয়। রাজরাজেশ্বরী মাতা তন্ত্র মতে ‘মহামায়া ত্রিপুরা সুন্দরী’, যিনি নিজ কৃপায় আবির্ভূত হন। এখানে দেবীর পাদপীঠে ইন্দ্র, ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর ধ্যানরত। দেবী স্বয়ং বরদাত্রী রূপে কামেশ্বর শিবের নাভি-কমল থেকে উদ্ভূতা ও পদ্মাসনে আসীন। দেবীর দুই পাশে জয়া, বিজয়া। তাঁদের উপর পরিরা বসে আছে। মায়ের মুখমণ্ডল কমলা বর্ণের।

বিভিন্ন উপাচারে মায়ের পুজো দেওয়া হয়। আজ মন্দিরে অন্নকূট উৎসবে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হবে। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা চন্দ্রনাথ সামন্ত বলেন, ‘মা রাজরাজেশ্বরীর পুজো নিয়ে অনেক মতবাদ প্রচলিত আছে। দেশকে স্বাধীন করতে মা–কে এখানে ভারতমাতা রূপে পুজো করা হয়। মায়ের হাতে শোভা পায় জাতীয় পতাকা।’

আরও পড়ুন: RSS: ১৫০ কোটির ভবন! বিজেপির সদর দপ্তরও এই ‘প্রাসাদে’র সামনে নেহাতই শিশু

ধর্মীয় বিশ্বাস ও পরম্পরা মেনেই ৩২৫ ধরে মায়ের পুজো হয়ে আসছে বলে জানান তিনি। পুজো কমিটির সভাপতি অনিল চট্ট্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পুজো ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে একটা ধর্মীয় ভাবাবেগ রয়েছে। পুজো ছাড়াও কমিটি সারা বছর সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। কোন্নগর পুরসভার শতাধিক সাফাইকর্মী, যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সুরক্ষিত রাখেন, তাঁদের এ বার সন্মানিত করা হবে।’

পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, ‘ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে তিনশো বছরের বেশি সময় ধরে পুজো হচ্ছে। দ্বারকার শঙ্করাচার্য কোন্নগরে জিটি রোডে রাজরাজেশ্বরী মায়ের মঠ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন প্রায় তিরিশ বছর আগে। সেখানেও তিথি মেনে উৎসব হয়।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন