দিঘা-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে টানা পর পর কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ টানা বৃষ্টি চলবে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপ শক্তি হারিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও উত্তাল থাকবে সমুদ্র।
সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। পাশাপাশি অন্যান্য জেলায় চলবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মূলত মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ার কারণে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং সেই সঙ্গে বজ্রপাতের সর্তকতা।
আরও পড়ুনঃ মা উড়ালপুলে যান চলাচল স্তব্ধ; দুর্ভোগ চরমে
বৃহস্পতিবার বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মালদা ও দুই দিনাজপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সর্তকতা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। সকাল থেকেই দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর সর্বত্রই আকাশের মুখ ভার। দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে। দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার হলুদ সতর্কতা।
বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। আজ বৃহস্পতিবার দিঘা-সহ জেলায় আবহাওয়া থাকবে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি সেইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের হলুদ সতর্কতা জারি দিঘা-সহ জেলায়। সোমবার হোক বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দিঘায়।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, তার প্রভাবে নিম্নচাপ তৈরি হবে। তাতেই সমুদ্র উত্তাল হবে। শনিবার পর্যন্ত বাংলা-ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আগামী সোমবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি সব জেলার বেশিরভাগ অংশে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে বইতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামিকাল শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা বেশিরভাগ জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
আরও পড়ুনঃ ভাগ্যের চাকা ঘুরবেই! কৌশিকী অমাবস্যার ভর সন্ধ্যায় করুন শুধু ‘এটি’
ভারী বৃষ্টি চলছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর 24 পরগনা, নদিয়া এবং ঝাড়গ্রামে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার পর্যন্ত, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
উত্তরবঙ্গে আজ অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং থেকে কোচবিহার পর্যন্ত পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে সোমবার পর্যন্ত। শনি ও রবি বৃষ্টি বাড়তে পারে নিচের দিকে জেলা মালদহ ও দিনাজপুরে। উত্তরবঙ্গের আট জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর গড়াতেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতা-সহ শহরতলিতে। দু’ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার কিছু অংশে। কলকাতা পুরসভার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী বালিগঞ্জে দুপুর এক’টা থেকে তিন’টের মধ্যে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওই একই সময়ে যোধপুরপার্কে হয়েছে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
তপসিয়ায় ৯৩ মিলিমিটার, গড়িয়ার কামডহরিতে ৬৭ মিলিমিটার, চেতলায় ৬২ মিলিমিটার, ধাপা এবং দক্ষিণের কুদঘাটে ৬১ মিলিমিটার, কালীঘাটে ৫৭ মিলিমিটার, চিংড়িহাটায় ৪৯ মিলিমিটার এবং তারাতলায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতায় জলমগ্ন। দক্ষিণ কলকাতায় বেশ কিছু রাস্তায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জমে যায় প্রচুর জল।



