কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
সুপ্রিম নির্দেশে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের আঁচ এসে পড়ল পর্যটন শিল্পে। গরমের ছুটিতে ডুয়ার্স বেড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল করছেন অনেক চাকরিহারারা। এমনটাই দাবি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রিসর্ট মালিক এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
গরমে প্রতিবছরই জমজমাট থাকে ডুয়ার্স। দক্ষিণের দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এখানে। এর মধ্যে একটা বড় অংশ থাকে শিক্ষকদের। কারণ, তখন একমাস স্কুল বন্ধ থাকে। ফলে পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘোরা যায়। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের এসএসসি নিয়ে আদেশের পর রিসর্টের থেকে বুকিং বাতিল করছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। যার জেরে দুচিন্তায় পড়েছেন রিসর্ট ও হোমস্টে মালিকেরা।
আরও পড়ুন: পকেটে টান, হেশেলে আগুন! বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ডুয়ার্স ফানসিটির কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর শীত এবং গ্রীষ্মের ছুটিতে বহু পর্যটক পাহাড়ে এবং ডুয়ার্সে বেড়াতে আসেন। গরমের মরশুমে স্কুল বন্ধ থাকে। তাই সেই সময়ে শিক্ষকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে এসে থাকেন। বৃহস্পতিবারের পর অনেক শিক্ষক তাঁদের বুকিং বাতিল করেছেন। তাই আমরা আমরা চিন্তিত। চাকরি বাতিলের প্রভাব পর্যটন ব্যবসাতেও পড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত জিপসি অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মজিদুল আলম বলেন, ‘একটা বড় অংশের পর্যটক হলেন শিক্ষক। তাঁরা প্রতিবছর গরমের ছুটিতে বেড়াতে আসেন। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পরিবার নিয়ে ডুয়ার্সে বেড়াতে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। সে সব পরিকল্পনা এখন বাতিল করছেন। যার ফলে আমাদের ব্যবসা ধাক্কা খাবে।’
আরও পড়ুন: ফোকলা নাম আর ভাল লাগে না, দাঁতকে তাড়াতাড়ি ফিরতে চিঠি লিখল জলপাইগুড়ির শিশু
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরি চলে যাওয়ার পর বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন শিক্ষক প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘গরমের ছুটিতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাব বলে সব ফাইনাল করেছিলাম। রিসর্ট বুকিংও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই রায়ে আমাদের মন ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে। ভালো করে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেওয়ার পর চাকরি পেয়েছিলাম। সেই চাকরি চলে গেল। এই অবস্থায় ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারছি না।’