বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি সাংসদ, বিধায়ককে। সোমবার রীতিমতো হামলা হয়েছে তাঁদের উপর। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরাই এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী তাৎপর্যপূর্ণভাবে সকলকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন। এবার দলের জনপ্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে তিনি তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুললেন।
আরও পড়ুনঃ গর্জে উঠল সিপিএম! কিন্তু কেন?
এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে এই ঘটনার নেপথ্যে শাসকশিবিরকে দায়ী করার পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে অবশ্য হামলার মুখে পিছু না হঠে, বিজেপি কার্যকর্তাদের দুর্গত মানুষের পাশে থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
শনিবারের রাতভর বৃষ্টিতে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ। একাধিক জেলা প্লাবিত। সর্বহারা বহু মানুষ। এই পরিস্থিতি দেখতে সোমবার নাগরাকাটায় গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং মালদহ দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। সেখানেই তাঁদের আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। শুধু তাই নয়, আহত হন শংকর ঘোষও। তাঁদের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে নাগরাকাটা এলাকা। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ ২ দফায় ভোট বিহারে, তারিখ জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন
এরপর সেখানে গিয়ে এই ঘটনার নিন্দা করলেও বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কোনও ঘটনা ঘটুক আমি চাই না। তবে কেউ যদি প্লাবন এলাকায় ৩০/৪০ টা গাড়ি নিয়ে চলে যায় তাহলে জনতার ক্ষোভ হয়। রাজনীতি করতে আমি ওই এলাকায় যেতে চাই না।” ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি এদিন সন্ধ্যায় দিকে দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে।
রাতের দিকে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। লেখেন, ‘দুর্গত মানুষদের সাহায্য করতে গিয়ে দলের বিধায়ক, সাংসদের উপর এই হামলা নেমে এল। এটা তৃণমূলের অসংবেদনশীলতার পরিচয়। আশা করি, তৃণমূল এবং রাজ্য সরকার এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে থেকে যা করণীয়, তেমন কাজই করবে। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদেরও বলছি, হামলার ভয়ে দূরে সরে না থেকে নিজেদের কর্তব্য পালন করুন।’