সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ
SIR না হতে দিলে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। বৃহস্পতিবার নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে আবারও সুর চড়ালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নাগরাকাটাতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। খগেন মুর্মুর ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করলেন, খগেন মুর্মুর ওপর তৃণমূলের জেহাদিরাই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ বাংলা এসেছেন কর্তারা, সব কাগজ রয়েছে তো? আধার কার্ড কি মান্যতা পাবে?
পাশাপাশি শুভেন্দু এও হুঙ্কার দেন, “বাংলা SIR করতে না দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন হবে। SIR হলে বাংলাদেশি ও ভূতুড়ে ভোটারের নাম বাদ যাবে।” তবে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও ভয় নেই বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। ছাব্বিশে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে, আর তারপর বদল হবে, বদলাও হবে বলে সুর চড়ান শুভেন্দু।
এমনিতেই SIR নিয়ে রাজ্যে এখন শাসক বনাম বিরোধী, শাসক বনাম নির্বাচন কমিশন সংঘাত। SIR বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে বাংলায় যখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, যখন কালীপুজোর পরই বাংলায় SIR শুরু হওয়ার জল্পনা চরমে, তখনই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মমতা। বিস্ফোরক মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়েও। যা নিয়ে বিতর্কের জলঘোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, বাংলা থেকে এক জনেরও নাম বাদ গেলে বুঝে নেবেন।
আরও পড়ুনঃ ‘একটা নাম বাদ গেলে বাংলাজুড়ে রক্ত-গঙ্গা বইয়ে দেব’, SIR নিয়ে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা রাজীবের
নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই SIR বিরোধিতায় পথে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন, বাংলায় SIR করতে না দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে শাসক নেতৃত্ব। তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “শুভেন্দুবাবু তো নিজেই সব ঠিক করে ফেলছেন। ভারতের আর আইন, সংবিধান বলে কিছু নেই। নির্বাচন কমিশনেরই বা ভূমিকা কী?”