বৃষ্টির বিরাম নেই। রবিবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গেও থাকছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। রবিবার ও সোমবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহারে জারি কমলা সতর্কতা। ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি জলপাইগুড়িতে। আলিপুরদুয়ারে ১৫২ মিমি, কোচবিহারে ৯৩ মিমি বৃষ্টি। এরইমধ্যে সিকিম, ভুটানের জলে বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ফ্রিডম অফার’! JIO-ও পারেনি, করে দেখাল BSNL; আনলিমিটেড কলিং, ২ জিবি ডেটা-সব পাবেন মাত্র ১ টাকায়!
অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর বলছে রবিবার ও সোমবার আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনেকটা বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তবে পুরো বৃষ্টিই হবে বিক্ষিপ্তভাবে। মঙ্গলবার এবং বুধবার বৃষ্টি আরও কমবে। কিছুটা বাড়বে তাপমাত্রা। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ফের বদলে যাবে হাওয়া। বৃহস্পতিবার ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। বাকি জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দুই এক পশলা বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে কলকাতাতেও। এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবা দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ঘোরাফেরা করছে ৭৫ থেকে ৯৬ শতাংশের মধ্যে। অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে আরও জল ছাড়ছে ডিভিসি। ৬০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। বেড়েই চলছে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। দামোদর-মুণ্ডেশ্বরীর দু’পাড়ে প্লাবনের আশঙ্কা।
আরও পড়ুনঃ অবিরাম বৃষ্টিতে অগ্নিমুল্য সবজি! সেঞ্চুরি লঙ্কা, শসায় হাত দিলেই ছ্যাঁকা; নেই টাস্ক ফোর্স-এর দেখা
রবিবার অতিবৃষ্টির চরম সতর্কতা থাকছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত। বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা বেশি থাকছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহারে। অন্যদিকে শুধু ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে উত্তর দিনাজপুর জেলাতে।