নিজস্ব প্রতিনিধি, ত্রিপুরা
আজ দেশের গৃহ ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ এর উপস্থিতিতে ত্রিপুরা রাজ্যের জেআরবিটি গ্রুপ ডি পদে ২৮০৬ জনকে নিয়োগপত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। উপস্থিত থেকে নিয়োগপত্র বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ড মানিক সাহা সহ মন্ত্রী সভার অন্যান্য মন্ত্রীগণ। রাজধানী আগরতলাস্থিত স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে হয় অনুষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: North Bengal: নজরে উত্তরবঙ্গ, বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে
কিন্তু এই জেআরবিটি বা জয়েন্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ড কর্তৃক গ্রুপ সি ও ডি পদে নিয়োগের পেছনে একটা বড়ো ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আইনী লড়াইয়ে এখনও দেশের শীর্ষ আদালত ও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন দীর্ঘ চর্চিত ১০৩২৩ মামলা। বিগত ১০ বছর ধরে এখনও কার্যত আশা ছাড়েননি চাকুরীচ্যুত শিক্ষকরা। দেশের শীর্ষ আদালতে আরটিআই করে এই ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকরা দাবি করেন যে, উনারা ‘তন্ময় নাথ বনাম ত্রিপুরা সরকারে’র মামলায় উনারা পক্ষভুক্ত ছিলেন না। মুষ্টিমেয় শিক্ষক বাদে বাকিরা এই জাজমেন্টে পড়েননি। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল। এর মাঝেই ত্রিপুরা রাজ্যে ক্ষমতার বদল হয় এবং ২৫ বছরের বাম শাসনের সমাপ্তি ঘটে। ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে আইন মেনে ১০৩২৩ শিক্ষকদের আইন মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদায় ঘন্টা বাজে ১০৩২৩ শিক্ষকদের। পরবর্তী সময় ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত হয় ১০৩২৩ শিক্ষকদের গ্রুপ সি ও ডি পদে সরাসরি নিয়োগ করবে সরকার। কিন্তু তা করতে হবে আইন মেনে।
আরও পড়ুন: Siliguri: নতুনভাবে সংগঠন তৈরি করার এক আলোচনা সভা; দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে
বর্তমান বিজেপি সরকার দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন যে, এই শিক্ষকদের কোনো ইন্টারভিউ ছাড়াই যেন সরাসরি নিয়োগ করতে পারে সরকার। কিন্তু আদালত এই মামলার রায়ে ‘সোলাস’ শব্দের ব্যবহার করে একটি জাজমেন্ট প্রদান করে। ১০৩২৩ মামলার মতোই এই জাজমেন্ট নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা। ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকদের দাবি, তাদের সরাসরি নিয়োগের কথা বলেছে আদালত। কিন্তু সরকারের বক্তব্য হলো, আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনে চাকুরী দেবার কথা বলেছে। যাইহোক অবশেষে সরকার তার বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়ে জয়েন্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করে ৪ বছরের মাথায় গ্রুপ সি ও ডি নন-টিচিং পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করলো। এখনও বুক ভরা প্রত্যাশা নিয়ে আদালতে বিচার প্রার্থী ১০৩২৩ ক্ষতিগ্রস্থ ত্রিপুরা রাজ্যের বড়ো শিক্ষক সমাজ।