হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ, কিন্তু শেখ মুজিবর রহমানের কী দোষ? যার হাত ধরে স্বাধীনতা পেয়েছিল বাংলাদেশ, যে বাড়ি থেকে বসে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সেই বাড়িই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল মৌলবাদীরা। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে মুজিবরের বাড়ির বাইরে ছাত্র আন্দোলনকারীদের এক বিকৃত উল্লাস দেখা গেল। ভাঙচুর চলছিল আগে থেকেই, মাঝরাতে ক্রেন ও এক্সকাভেটর এনে ভাঙা শুরু হল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। প্রশ্ন তুলেছেন এই কি আন্দোলন?
আরও পড়ুন: Bangladesh: ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে ফের আছড়ে পড়ল জনরোষ
বাংলাদেশে আওয়ামি লীগ ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই গায়ে ফোস্কা পড়েছে মৌলবাদীদের। শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য় রাখার ঘোষণা হতেই মুজিবরের বাড়িকে নিশানা করা হয়। রাত ৯টায় শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখার কথা ছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়া ছাত্র লীগের পেজ থেকে। তার আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা ধানমন্ডির ৩২-র অভিমুখে বুলডোজার মিছিলের ডাক দেয়। কিন্তু তার আগে থেকেই অশান্তি শুরু হয়।
শেখ মুজিবরের বাড়ির গেট ভেঙে ঢোকে বিক্ষুব্ধ জনতা ও আন্দোলনকারীরা। নির্বিচারে মুজিবর মিউজিয়াম ও বাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে। বাড়ির বাইরে থেকে শেখ হাসিনা, আওয়ামি লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয় তারা। শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়। রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: North Bengal: নজরে উত্তরবঙ্গ, বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে
এখানেও থামেনি তারা। ভাঙা শুরু হয় বাড়ির দেওয়াল। রাত ১১টা নাগাদ ক্রেন ও এক্সকাভেটর আনা হয় মুজিবরের বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার জন্য। শেষ খবর অনুযায়ী, রাত ১টা -২টো পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিকেল থেকেই ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি গতকালই ফেসবুকে নানা উসকানিমূলক পোস্ট করছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাও ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থমুক্তি মুক্ত হবে।”