নিজস্ব প্রতিনিধি, যশপাল সিং, ত্রিপুরা:
মেয়েরা চাইলে কি না পারে! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও বোকা বানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে নিরীহ স্বামীকে গারদে পৌঁছে দিল স্ত্রী। গোটা স্ক্রিপ্ট সুস্থ্য মস্তিস্কে নিজেই সাজিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা: মানিক সাহার বাড়ীর সামনে ধর্ণা দিয়ে সাফল্যও পেল প্রতাপগড়ের বাসিন্দা অর্পিতা আচায্য নামে ঐ নাবালিকা স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিরিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে গাড়ি, মৃত্যু দুই পর্যটকের
অথচ মুল ঘটনা প্রকাশ্যে এলো নিরীহ স্বামী বিকাশ দেবনাথের গ্রেপ্তারের পর। মুখ্যমন্ত্রী থেকে বেগ পেয়ে কল্যানপুর থানার পুলিশ কল্যানপুর দাউছড়া নিবাসী বিকাশ দেবনাথকে গ্রেপ্তার করতেই তার গ্রামের মানুষ থানায় এসে হাজির হয়। পুলিশের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে গ্রামবাসীদের আবেদন, বিকাশ দেবনাথ নির্দোষ, তাকে যেন রেহাই দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করুক তাতে কোনো আপত্তি নেই গ্রামবাসীদের। তাদের আরও বক্তব্য, অর্পিতার সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। গোটা ঘটনা সাজানো। প্রকৃত ঘটনার সাক্ষী গ্রামবাসী। দু’জন মহিলা গ্রামবাসী মিডিয়ার সামনেই সমস্ত সত্য উদঘাটন করেন। তারা বলেন, বিয়ের পর অর্পিতা রান্না করতে গিয়ে শাড়িতে আগুন লাগে। সেটা ছিল দূর্ঘটনা। তৎক্ষনাৎ স্বামী বিকাশই আগুন নিভিয়ে তার প্রাণ রক্ষা করে। এরপর চিকিৎসা করায়। জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাই চলছিল। কিন্তু বিকাশকে আচমকাই কর্মহীন হয়ে পড়তে হয়। সে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জল দিবসে জল সচেতনতা! দিশারী সংকল্পের পক্ষ থেকে বালুরঘাট শহরে জল সমীক্ষা
সেই থেকেই স্বামীর বিরুদ্ধে শুরু হয় অর্পিতার অপব্যবহার। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী ও শ্বশুরের নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে বিকাশকে। শ্বশুর বাড়ি একপ্রকার চালাতে বাধ্য করা হয় তাকে। একসময় শ্বশুর বাড়ী থেকে বিকাশকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে কিভাবে বিকাশ কাজকর্ম করবে সেই প্রশ্ন করতেই অর্পিতা তাকে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিভাবে সে বিকাশকে জেলে পাঠাবে সেই পরিকল্পনাও ফোন কলে বলে দেয় অর্পিতা। আর সেই কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসতেই অর্পিতার মিথ্যার পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। এই কল রেকর্ডিং এখন পুলিশের হাতেও পৌঁছে গেছে। গোটা ঘটনার পেছনে স্ত্রী অর্পিতা ও শ্বশুর বাড়ীর হাত রয়েছে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন। কিন্তু গোটা ঘটনার সুষ্ঠ খোঁজ না নিয়ে অর্পিতার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর মায়া কার্যত একটা নিরপরাধ যুবকের জন্য লজ্জার নজির হয়ে রইল। অর্পিতার ষড়যন্ত্রে রাজ্যের অন্যতম মুখ্যমন্ত্রীকেও বেকায়দায় ফেলে দিল।