Wednesday, 18 June, 2025
18 June, 2025
HomeদেশCPI(M): বিধানসভা অধিবেশন বয়কট, আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ বামেদের

CPI(M): বিধানসভা অধিবেশন বয়কট, আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ বামেদের

বিধানসভায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে বাজেট অধিবেশনের বাকি দিনগুলি বয়কটের ঘোষণা করল বিরোধী দল সিপিআইএম।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

নিজস্ব প্রতিনিধি, যশপাল সিং, ত্রিপুরা:

ত্রিপুরা বিধানসভায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে বাজেট অধিবেশনের বাকি দিনগুলি বয়কটের ঘোষণা করল বিরোধী দল সিপিআইএম। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন।

 আরও পড়ুন:  দুর্গাপুরে ডিভিসির জমি উচ্ছেদ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা

বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, স্পিকার রতন লাল নাথের বিরুদ্ধে আনা তার বিশেষাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল করেছেন, অথচ নাথের উত্থাপিত প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। “সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে স্পিকার বিজেপি নেতার মতো কাজ করছেন। তিনি কার্যনির্বাহী স্পিকারের ভূমিকা পালন না করে পক্ষপাতিত্ব করছেন,” বলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রী রতন লাল নাথের বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিরোধীরা ‘জাতিগত অপবাদ’ ছোঁড়ার অভিযোগ তুলে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনলেও তা স্পিকার প্রত্যাখ্যান করেন। এর প্রতিবাদে বাম বিধায়করা ওয়াকআউট করেন এবং পরে বাজেট অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। বিরোধী সিপিআইএম বিধায়করা এরপর সংবিধান অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভা ভবনের বাইরে ডক্টর বি. আর. আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, বর্তমান শাসকদল সংসদীয় রীতিনীতিকে উপেক্ষা করছে এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে।

অন্যদিকে, মন্ত্রী রতন লাল নাথ বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে জানান, তার বক্তব্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি কখনও কোনও বর্ণবাদী মন্তব্য করিনি। উস্কানিমূলক প্রচার চালিয়ে বিরোধীরা ফায়দা লুটতে চাইছে, কিন্তু তা সফল হবে না।”

আরও পড়ুন: রাম নবমীর দিন বন্ধ রাখতে হবে সব মদের দোকান, দাবি হিন্দু জাগরণ মঞ্চর

বিরোধী দলনেতা চৌধুরী বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারি না। আমরা আশা করি, তাদের সুবুদ্ধি হবে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সম্মান করা শুরু করবে।” তিনি আরও জানান, স্পিকার এবং শাসকদলের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়েও বিরোধীদের প্রস্তাব এবং জনস্বার্থমূলক ইস্যুগুলি উপেক্ষা করা হচ্ছে। সিপিআইএমের দাবি, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিধানসভা তার সাংবিধানিক ভূমিকা থেকে সরে এসেছে এবং শাসকদলের নির্দেশেই পরিচালিত হচ্ছে। জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং বাম শিবির স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, যতদিন গণতন্ত্র ও বিরোধী কণ্ঠস্বরের প্রতি সম্মান না দেখানো হবে, ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বাজেট অধিবেশনের মাঝেই ত্রিপুরার রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। আগামী দিনে এই বিরোধ আরও কোন দিকে মোড় নেবে, তার দিকে নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন