মন খারাপের মধ্যে দিয়ে নতুন বছর শুরু হল বালুরঘাটের বুড়া কালীমাতার ভক্তদের। কারণ চৈত্র সংক্রান্তিতে লকারেই থেকে গেল মায়ের সোনার মুখমণ্ডল সহ নানা গয়না। পুরনো রূপোর তৈরি মুখমণ্ডলেই পুজো সম্পন্ন করতে হল। কিন্তু লকার থেকে কেন বের করা গেল না মায়ের সোনার মুখমণ্ডল?
আরও পড়ুন: ‘আমরা আলাদা কী করে’! প্রশ্ন মোথাবাড়ির সন্দীপ-সোলেমানের
যে মন্দিরে মা পূজিত হন সেই মন্দিরের সম্পাদক বর্তমানে অসুস্থ এবং রাজ্যের বাইরে চিকিৎসাধীন। এদিকে তাঁর কাছেই রয়েছে ওই লকারের চাবি। অন্যদিকে, ডুপ্লিকেট চাবি রয়েছে ব্যাঙ্কের লকারে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অসুস্থ থাকার কারণে সম্পাদক চাবি কোথায় রেখেছেন তা বলতেই পারছেন না। এদিকে সোমবার ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। অর্থাৎ দুটি চাবির কোনওটাই পাওয়া সম্ভব হয়নি। এই কারণেই মায়ের সোনার মুখমণ্ডল লকার থেকে বের করা যায়নি।
আরও পড়ুন: চোখের সামনে ‘আকাশ’ থেকে মাটিতে আছড়ে পড়ল চড়ক ভক্তরা! নববর্ষের আগের রাতেই ভয়াবহ কাণ্ড
পুরনো মুখমণ্ডলে পুজো হলেও তাতে কোনও খামতি করা হয়নি বলেই জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এদিকে ভক্তদের মতো যে তাঁদেরও বিষয়টি নিয়ে মন খারাপ, এটাও স্পষ্ট করেছেন তাঁরা। বর্তমান পুজো কমিটির সম্পাদক অমিত মহন্ত বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও খুব মর্মাহত। তবে কিছু করার নেই। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেননি।
ভক্তদের কয়েকজন বলছেন, দীপান্বিতা অমাবস্যায় এবং চৈত্র সংক্রান্তি, বছরে দু’বার বড় করে মায়ের পুজো হয়। তাই একটু মন খারাপ হলেও তাঁরা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তাঁরা এও জানিয়েছেন, চৈত্র সংক্রান্তির রাতে পুজো শুরু হয়ে পরের দিন সকাল পর্যন্ত তা চলে। পুজো দেখতে রাত থেকে মানুষের ঢল নামে। এই বছর একই নিয়মে পুজো হয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকালেও তাই মন্দিরে ভিড় করেছেন মানুষ।