পহলগাম জঙ্গি হানার তদন্তে এখন অনেক মুখ উঠে এলেও নৃশংস এই গণহত্যার নাটের গুরু সেই লস্কর-ই-তোইবার প্রধান, ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী হাফিজ সইদ। হাফিজ সইদেরই ইশারায় কাশ্মীরে এই হানা চালিয়েছে পাক জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গ দিয়েছে স্থানীয় কয়েকজন জঙ্গি।
দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স বা টিআরএফ কোনও বিচ্ছিন্ন সংগঠন নয়, খোদ লস্করের মদত ও ছায়ায় বেড়ে ওঠা দীর্ঘদিনের একটি জঙ্গি দল। যারা গ্রাউন্ড অপারেশনের কাজ করে, লস্করেরই নির্দেশে তাদের তালিম হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন শিবিরে। পাক সেনাদের প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণে এদেরকে সামরিক বাহিনীর কমান্ডোর মতো ট্রেনিং দেওয়া হয়।
লস্কর সোনমার্গ, বুটা পাঠরি ও গান্ডেরওয়ালে বড়সড় হামলাগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের অক্টোবরে বুটা পাঠরিতে দুই সেনা জওয়ান সহ চারজনকে হত্যা করেছিল এরা। ওই মাসেই সোনমার্গে রক্তাক্ত হানা দেয় জঙ্গিরা। একটি সুড়ঙ্গে ঢুকে ৬ নির্মাণ কর্মীসহ এক ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা করে।
এই ঘটনার পর ওই বছরেরই ডিসেম্বরে এক সংঘর্ষে এই মডিউলের বা জঙ্গি শাখার এ প্লাস ক্যাটেগরির লস্কর জঙ্গি, জুনেইদ আহমেদ ভাট, যার বাড়ি কুলগাঁওয়ে, তাকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। কিন্তু, এই শাখার অন্য জঙ্গিরা গুলি চালাতে চালাতে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল।
এই ঘটনার পরেই লস্করের এই শাখা সংগঠন একেবারে আত্মগোপন করে থাকে। পার্বত্য জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে অপেক্ষা করতে থাকে পাকিস্তানি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষায়। লস্করের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ অর্থাৎ পাকিস্তানে তথাকথিত জেলবন্দি হাফিজ সইদের রিমোটে নিয়ন্ত্রিত হয় এই জঙ্গি সংগঠনের কমান্ডাররা। যাদের মধ্যে অন্যতম একজন হল হাফিজের ডানহাত লস্করের ডেপুটি সইফুল্লা।
আরও পড়ুন: বেছে বেছে হিন্দু নিধন! জঙ্গি আসিফ ও আদিলের বাড়িই বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিল সেনা
হাফিজ ও সইফুল্লা পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরি জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়ে থাকে। ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী এও জানতে পেরেছে যে, এই মডিউলের জঙ্গিরা শুধুমাত্র লস্করের কাছ থেকে নীতিগত সমর্থন পায় তা নয়। অস্ত্রপাতি, লোকলস্কর, জঙ্গি তালিম সহ সব ধরনের সাহায্য পায়। যার পিছনে বিরাট চওড়া হাত আছে পাক সেনাবাহিনী ও তাদের চর সংস্থা আইএসআইয়ের।