দর্শনার্থীদের যেন কোনও রকম সমস্যা না হয়। প্রতিদিন যেন ঠিক সময় জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খোলে। দিঘা ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে যখন রওনা দেবেন দেবেন করছিলেন, তার আগেই আরও একবার পরিষ্কার করে অখিল গিরিকে পইপই করে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
মঙ্গলবার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন তো হয়েছে সবে মাত্র। তার আগে থেকেই সবটা গুছিয়ে রেখেছিলেন মমতা। ভোগ থেকে শুরু করে সোনার ঝাড়ু, সমস্তটা হয় নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন, না হলে মন্ত্রী বা সরকারি দফতরের হাতে সঁপেছেন।
বাংলার সব বাড়িতে দিঘার মন্দিরের ছবি এবং প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হওয়া শুরু হলে তা হবে ভোটের এক বছর আগে বড় কর্মসূচি। অন্তত পর্যবেক্ষকরা তাই বলাবলি করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন মহাযজ্ঞে। পূর্ণাহুতির পরে মমতা বলেন, “সমস্ত ধর্ম-বর্ণের মানুষ এসেছেন এখানে। প্রত্যেকেই আমাদের অতিথি। ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার জিনিস। মা-মাটি-মানুষ ভাল থাকলে আমি ভাল থাকব। তাই সকলের হয়ে প্রার্থনা করছি।”
আরও পড়ুন: বুধে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ, আজ সকালে সুর পাল্টে গেল দিলীপ ঘোষের
বুধবার দ্বার উন্মোচনের পর স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা নিশ্চিন্ত মুখ্যমন্ত্রী। যদিও দিঘা ছাড়ার আগে তাও একবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিকে পই পই করে বলে গেলেন, মন্দির দর্শনে মানুষের যেন কোনও রকম সমস্যা না হয়। ঠিক সময় যেন মন্দিরের দরজা খোলে, সবাই যাতে ঠিক করে পুজো দিতে পারেন সেদিকে খেয়ালও রাখতে বললেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে অখিল জানান, দিদি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতোই আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব, যাতে মানুষের কোনও রকম সমস্যা না হয়।