স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তামিলনাড়ুর হোসুরের এক জিম প্রশিক্ষক। অভিযুক্ত ভাস্কর (৩৪) দাবি করেছেন, যৌন মিলনের সময় ‘বন্ডেজ সেক্স’-এর চর্চা চলাকালীন দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী শশীকলার। তবে নিহতের পরিবার এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শশীকলার উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন ভাস্কর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন ভাস্কর ও শশীকলা। ভাস্করের মালিকানায় চারটি জিম রয়েছে, আর শশীকলা মহিলাদের জন্য একটি জিম ছিল, সেটা পরিচালনা করত। বিয়ের আগে বেঙ্গালুরুতে একটি খেলার স্কুল চালাতেন শশীকলা।
আরও পড়ুন: বহুগামিতাই পছন্দ; নারীদের সম্পত্তি অধিকারের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ ঢাকায়
ভাস্করের বয়ান অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল রাতে তাঁরা মদ্যপান করেন এবং পরে যৌনতায় লিপ্ত হন। সেই সময় ‘বন্ডেজ সেক্স’ করতে গিয়ে স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে, গলায় কাপড় জড়িয়ে দেন তিনি। এরপরই শশীকলার নাক থেকে রক্তপাত শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
তবে শশীকলার বাবা অরুল এই কথা মানতে নারাজ। তাঁর অভিযোগ, “ভাস্কর পণের টাকা হিসেবে আমাদের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সে নিয়মিত মেয়েকে মারধর করত। অতীতে দু’বার শশীকলাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলাম।” অরুলের দাবি, শশীকলা তাঁর স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে সন্দেহ করতেন, যার জেরে প্রায়শই দাম্পত্য কলহ হতো।
আরও পড়ুন: ভানু সপ্তমীতে সারাদিন রবি পুষ্য যোগ, আর্থিক দিক থেকে মালামাল হবে এই চার রাশি
অরুল আরও জানান, “এইবারও আমি ভেবেছিলাম ওদের ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু পরে জানতে পারি, ভাস্কর আমার মেয়ের গলা চেপে ধরে, হাত-পা বেঁধে খুন করেছে। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আমায় ফোন করে জানায়, মেয়ে আর নেই।” এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে—একজন চার বছরের, অপরজন দুই বছরের।