অপারেশন সিঁদুরের পর পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে গোটা দুনিয়াকে বার্তা দিতে চায় নয়াদিল্লি। সেজন্য বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই প্রতিনিধি দলে তৃণমূলের থেকে সামিল হবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানী সহ দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্র! চালকের তৎপরতায় রক্ষা
এর আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা না বলই বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলে বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম রেখেছিল দিল্লি। তাতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউসুফ পাঠান কেন্দ্রকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি ওই প্রতিনিধি দলে সামিল হবে না। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, “দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। তবে আমরা মনে করি বিদেশনীতি একান্তভাবেই কেন্দ্র সরকারের অধিকারভুক্ত বিষয়। তাই বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব এবং তার কূটনৈতিক দায়িত্ব সরকারই গ্রহণ করুক— সেটাই শ্রেয়।”
সূত্রের খবর, তৃণমূল এভাবে অবস্থান স্পষ্ট করার পরই, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন এবং জানান, এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর সংসদীয় প্রতিনিধিদলের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই যথোপযুক্ত প্রতিনিধি হবেন।”
আরও পড়ুন: শ্রীঘরে তৃণমূল নেতা! বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে দেহরক্ষীকে গুলি
শুধু তৃণমূল নয়, কংগ্রেসের সঙ্গেও একই রকমের আচরণ করেছিল কেন্দ্রের সরকার। প্রতিনিধি দলে সামিল করার জন্য সাবেক জাতীয় দলের কাছ থেকে নাম চেয়েছিল সরকার। কংগ্রেস চার জনের নাম পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই চার জনের কাউকে দলে সামিল না করে সরকার এক তরফা ভাবে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরকে ওই প্রতিনিধি দলে সামিল করে। সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করলেও কংগ্রেস অবশ্য শেষমেশ কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিজেপির বোঝা উচিত ছিল তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলনায় অনেক শক্তি মাটি। কংগ্রেস বরদাস্ত করলেও তিনি এটা মেনে নেবেন না। শেষমেশ তৃণমূলের সঙ্গে তাই আলোচনা করতেই হল কেন্দ্রকে।