আইপিএল জয়ের উৎসব বদলে গেল বিষাদে। ট্রফি নিয়ে জয়োৎসবে বেরিয়েছিল আরসিবি৷ হাজির হয় ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। আর বাইরে হাজির দর্শকদের ভিড়ে তৈরি বিশৃঙ্খলায় পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন ১১ সমর্থক। বেসরকারি সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে ছ’বছরের শিশুকন্যাও রয়েছে। আহত অন্তত ২৫। তাঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের বোরিং হাসপাতাল ও বৈদেহী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার স্ত্রীকেও ছাড়েনি…’, বিস্ফোরক ইমরান
হুড়োহুড়ি ও দুর্ঘটনার ঘটনার জেরে আরসিবি শিবির ওপেন-বাস প্যারেড ইতিমধ্যে বাতিল করেছে। বিরাট কোহলিরা স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছে সাধারণ বাসে। বাইরে যখন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তখন মাঠের ভেতর উদযাপন চলছে! বিরাট সমর্থকদের সামনে ট্রফি মেলে ধরেছেন, হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন বাকি ক্রিকেটাররাও।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘অত্যধিক ভিড় ছিল। জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমরা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার সময়ই পাইনি। উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেন, ‘আমরা ৫ হাজার পুলিশকর্মীর ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু বাচ্চা বাচ্চা উৎসাহী ছেলেমেয়ের উপর লাঠি চালানোর নির্দেশ দিতে পারিনি।‘
এদিন বিকেলে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের বিমানবন্দরে এসে নামে টিম আরসিবি। সেখানে খেলোয়াড়দের স্বাগত জানাতে যান শিবকুমার। উচ্ছ্বসিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ কর্তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকও সারেন। কিন্তু সকাল থেকে গোটা শহর জুড়ে ছিল তুমুল উন্মাদনা।
পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় জুড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়িও। কর্নাটকের কংগ্রেসি সরকারকে এই গণমৃত্যুর দায়ী ঠাউরেছে বিরোধী দল বিজেপি। দলের তরফে অমিত মালব্য একটি ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘এই ট্র্যাজেডি অপরাধমূলক গাফিলতি। কংগ্রেস সরকার দু’হাতে রক্ত মেখেছে। শুধুমাত্র গাফিলতির কারণেই এতগুলি মানুষ জীবন দিয়েছেন। এটা কোনও দুর্ঘটনাই নয়, সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।‘