কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
কংগ্রেসের এক মহিলা কর্মীকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ ওই মহিলা। ইতিমধ্যেই তাঁকে ও তাঁর স্বামী মারধর করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন তাঁর স্বামী। ঘটনা মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকার রাজনগর কাঠালবাড়ি গ্রামের।
অভিযোগ, গত ১৪ মে কংগ্রেস কর্মী মরিয়ম খাতুনের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে গ্রামে সালিশি বিচার সভা বসান ওই গ্রামেরই তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য গোলাম নবী। সেই সময় এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারা মরিয়মের পক্ষ নিলেও এরপরই তাঁদের বাড়িতে যায় গোলাম নবী, তাঁর ছেলে এবং ভাইরা। গালিগালাজের পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বিয়ের ছবি ভাইরাল হতেই! ‘No… Fake’; বঙ্গবার্তাকে সাফ জানালেন মহুয়া
এছাড়াও মরিয়ম খাতুনের স্বামী রেজাউল করিমকে লোহার রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রেজাউলকে সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায়, তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে গোলাম নবী-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মরিয়ম। এরপরই কেস তোলার জন্য রীতিমতো হুমকি ও শাসানি দিতে থাকে অভিযুক্তরা।
এমনকি অভিযুক্ত এলাকার প্রভাবশালী ও শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ায় পুলিশের ভূমিকাতেও প্রশ্ন তুলেছেন মরিয়ম ও রেজাউলের দাদা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মে মাসের শুরুর দিকে গোলাম নবীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এরপরে একটি চুরির অভিযোগ দায়ের হয় কালিয়াচক থানায়। কিন্তু অভিযোগপত্রে উল্লেখ ছিল রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা চুরি করেছে। এর কিছুদিন পরেই মরিয়মের দিকে আঙুল তোলেন গোলাম। অভিযোগ, সালিশি সভার পরও তাঁদের ওপর আক্রমণ চালান গোলামরা।
আরও পড়ুন: বীরভূমের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ টুইস্ট; কেষ্টর পাশে বিজেপি! অনুব্রতর হয়ে লড়ছেন বিজেপির আইনজীবী
মরিয়ম বলেন, “আমরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি। গোলামরা আমাদের কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকি কেস না তোলা হলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এদিকে আমার স্বামীর অবস্থাও খুব ভাল না। কালিয়াচক থানার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি। আমরা কংগ্রেস করি বলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।তাই আমরা পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছি।”
যদিও অভিযুক্ত গোলামের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে হালকা হাতাহাতি হয়েছিল। অতো বড়ো বিষয় নয় এটা। রেজাউল করিমের মাথা ফেটেছিল তবে আমরাই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম।”