সাহেব দাস, হুগলী, তারকেশ্বর:
হুগলির অন্যতম প্রধান শিল্পনগরী চাঁপদানিতে যানজট কমাতে গড়ে উঠবে নতুন বাইপাস। তা দিল্লি রোডের সঙ্গে জিটি রোডকে সংযুক্ত করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভদ্রেশ্বর বিঘাটির সামনে দিল্লি রোড থেকে শুরু হয়ে রাস্তাটি চাঁপদানির জিটি রোডে গিয়ে মিশবে।
রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় আট কিমি। মূলত ডিভিসি খালের ধার বরাবর এই রাস্তা বানানো হবে। মাঝখানে রেললাইন পড়ে যাওয়ায় সেখানে একটি উড়ালপুল নির্মাণ করা হবে। জেলা প্রশাসনের দাবি, এই রাস্তা তৈরি হলে চাঁপদানির সঙ্গে বৈদ্যবাটি ও ভদ্রেশ্বরের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে।
এখন বৈদ্যবাটি রেলগেটের সামনে প্রতিদিন যে যানজট হয়, সেটাও অনেকটা কমে যাবে বলে আশা করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। প্রস্তাবিত রাস্তার কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখতে গত সোমবার হুগলি জেলা প্রশাসন, রেল ও সেচ দপ্তরেরর আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে যান।
আরও পড়ুন: উঠোনে হাজির ‘চারপেয়ে অতিথি’, আতঙ্কে কাঁপছে কোচবিহার
ছিলেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই, চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র, বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো, শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক শম্ভুদ্বীপ সরকার ও চন্দননগরের মহকুমা শাসক বিষ্ণু দাস।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, প্রস্তাবিত নতুন রাস্তাটি জিটি রোড ও দিল্লি রোডের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করবে। চাঁপদানি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ডিভিসি খালের ধার দিয়ে গিয়ে চন্দননগরের গর্জি মোড় ছুঁয়ে সিঙ্গুর ব্লকের বিঘাটির কাছে দিল্লি রোডে মিশবে।
প্রস্তাবিত নতুন রাস্তার যাবতীয় নথিপত্র নবান্নে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈদ্যবাটি ও ভদ্রেশ্বরে রেলের ওভারব্রিজ রয়েছে। রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে সেটা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য রেলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
রেলের তরফ থেকে অবশ্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে পণ্যবাহী গাড়িগুলি খুব সহজেই বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি ও ভদ্রেশ্বর থেকে দিল্লি রোডে পৌঁছাতে পারবে। গাড়ি যাতায়াত ছাড়াও রাস্তার এক দিক দিয়ে সাইকেল, বাইক চলাচলের রাস্তা এবং রাস্তার দু’পাশে চওড়া ফুটপাথ থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘দোস্ত দোস্ত না রাহা..’ ট্রাম্পকে গদি থেকে ছুড়ে ফেলা হোক, চাইছেন ইলন মাস্ক!
চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘হুগলি শিল্পাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত শহর চাঁপদানি। এখানে একাধিক চটকল ও সুতোকল রয়েছে। তার জন্য জিটি রোড ও দিল্লি রোডের উপর খুব চাপ পড়ে যায়। যানজটের জেরে মানুষকে ভুগতে হয়। তাই একটা বিকল্প রাস্তা তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে সেই প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। সেই মতো জেলা প্রশাসন, রেল, সেচ ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে যৌথ পরিদর্শন হয়েছে। সরকারি ছাড়পত্র মিললেই খুব শিগগির রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে।’